—প্রতীকী চিত্র।
পূর্ব রেলের হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের অধীনস্থ বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার এই রাজ্যের রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর। সাংসদ সৌগত রায়ের সভাপতিত্বে দক্ষিণ কলকাতার এক হোটেলে ওই বৈঠক হয়। শমীক ভট্টাচার্য, জগন্নাথ সরকার, শতাব্দী রায়, অসিত মাল, বাপি হালদার, খলিলুর রহমান, ইউসুফ পাঠান, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১৪ জন সাংসদ বৈঠকে যোগ দেন। অন্য দিকে, মহুয়া মৈত্র, পার্থ ভৌমিক এবং সৌমিত্র খান তাঁদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।
দুই ডিভিশনের বিভিন্ন এলাকায় রেল পরিষেবার সম্প্রসারণ, স্টেশনের উন্নয়ন, নতুন ট্রেন চালু, উড়ালপুল নির্মাণ-সহ একাধিক দাবিদাওয়া তুলে ধরেন সাংসদেরা। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার কল্যাণী এবং রানাঘাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারিত করার দাবি জানান। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ এবং রানাঘাট পথে বন্দে মেট্রো এবং শিয়ালদহ শাখায় বাতানুকূল লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানান শমীক। মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার জয়নগর, মজিলপুর এবং রায়দিঘি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি তোলেন। চুঁচুড়া, কাটোয়া, মেমারি, মশাগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় উড়ালপুলের দাবি জানান রচনা এবং শর্মিলা।
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভাবাদিঘি এলাকায় জমি-জট কাটাতে সাহায্য চান পূর্ব রেলের জি এম। আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন রেল পরিষেবার সম্প্রসারণের দাবিও ওঠে।