রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে।—ছবি সংগৃহীত
মাত্র দশ দিনের ব্যবধান। ফের মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
রবিবার সকালে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে দমদমগামী একটি ট্রেনের সামনে আচমকা ঝাঁপ দেন বছর বত্রিশের এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে ট্রেনের নীচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার জেরে সকালের দিকে প্রায় ৪০ মিনিট টালিগঞ্জ থেকে দমদমের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকে। ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীদের একটা বড় অংশ। পাশাপাশি, আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করার সময়ে ট্রেনের একাধিক কামরা সুড়ঙ্গের মধ্যে থাকায় যাত্রীদেরও নামানো যায়নি।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টা ৩৫ নাগাদ রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে দমদমগামী এসি রেক ঢুকছিল। নতুন ওই রেকের সামনে আচমকা ঝাঁপ দেন বছর বত্রিশের যুবকটি।
তাঁর গতিবিধি আঁচ করে চালক সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষলেও মেট্রোর তিনটি কামরা তাঁকে অতিক্রম করে পেরিয়ে যায়। তবে, ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার আগেই ওই যুবক দু’টি লাইনের মাঝে থাকা গর্তের মধ্যে পড়ে যান বলে খবর। আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থেমে গেলেও পাঁচটি কামরা তখনও স্টেশনে ঢোকেনি। এই অবস্থায় ওই যুবক বেঁচে রয়েছেন নিশ্চিত হওয়ার পরেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ ট্রেন পিছিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। শেষমেশ ১১টা ১০ নাগাদ থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চারু মার্কেট থানার পুলিশকর্মীদের সাহায্যে তাঁকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি বিডন স্ট্রিট সংলগ্ন প্যারীমোহন শূর লেনে। কেন এবং কী ভাবে তিনি রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে পৌঁছলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করার পরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ট্রেনটিকে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনা হয়। বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ ফের স্বাভাবিক হয় মেট্রো পরিষেবা।
এ দিকে, মিনিট চল্লিশ টালিগঞ্জ থেকে দমদমের মধ্যে মেট্রো বন্ধ থাকার কারণে মাঝের স্টেশনগুলিতে আটকে পড়েন বহু যাত্রী। মেট্রো সূত্রের খবর, ওই সময়ে কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ এবং নোয়াপাড়া থেকে দমদমের মধ্যে একটি করে মেট্রো চালানো হয়।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেও বাঁশদ্রোণী সংলগ্ন গীতাঞ্জলি স্টেশনে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বছর বাইশের এক তরুণী। পরে তাঁকে উদ্ধার করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।