প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ঘটনার পরে ওই ব্যক্তিও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার দিয়ারা এলাকায়। মৃতার নাম অণিমা মণ্ডল (৪২)। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর স্বামী প্রসন্ন মণ্ডলকে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা।
প্রতিবেশী ও অণিমার পরিজনেদের অভিযোগ, স্ত্রীকে সব সময়ে সন্দেহ করত প্রসন্ন। এমনকি, অণিমা কোনও পুরুষের সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ হত তার। অভিযোগ, সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করেছে প্রসন্ন। পরিজনেরা আরও জানিয়েছেন, প্রসন্নের সন্দেহবাতিক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। তার জেরে মাস ছয়েক আগে মা-বাবার কাছে চলে যান অণিমা। সপ্তাহখানেক আগে স্বামীর কাছে ফেরেন। প্রসন্নদের এক প্রতিবেশী সুপ্রিয় মণ্ডল বলেন, ‘‘রবিবার রাতে শৌচাগারে গিয়ে পাশের বাড়ি থেকে গোঙানির আওয়াজ পাই। আরও কয়েক জনকে ডেকে নিয়ে প্রসন্নদের বাড়ির দরজা ভেঙে দেখি, গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে অণিমার দেহ। প্রসন্ন ব্লেড দিয়ে নিজের গলার নলি কাটার চেষ্টা করছে। তার পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি ব্লেড এবং একটি রক্তমাখা কাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। অনুমান, ওই কাটারি দিয়েই খুন করে অভিযুক্ত।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অণিমা ও প্রসন্নর এক ছেলে আছে। ঘটনার রাতে ছেলের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে প্রসন্ন। পড়শিরা গিয়ে ছেলের ঘরের দরজা খোলেন। মৃতার এক আত্মীয়া পূর্ণিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘দিন দিন সন্দেহ বাড়ছিল প্রসন্নর। সম্প্রতি সে মানসিক বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়েছিল। এমনকি, নিজের ছেলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে অণিমার, এই অভিযোগ তুলেও অশান্তি করত। সেই কারণে মাস ছয়েক আগে মা-বাবার কাছে চলে গিয়েছিল অণিমা। কিন্তু আক্রোশের বশে প্রসন্ন যে এমন করবে, আন্দাজ করতে পারিনি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। অণিমার পরিজনেদের তরফে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।