—প্রতীকী চিত্র।
চায়ের দোকানে ১৮ বছরের তরুণ আকাশপ্রতাপ কুঁড়িকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কারা সিংহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কারা ওই দোকানের মালিক। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল।এই মামলায় পুলিশ কারা-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করল।
রবিবার সকালে কারাকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধরা হয়। সে ভিন্ জেলায় গিয়ে লুকিয়ে ছিল এক আত্মীয়ের বাড়িতে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নিজের ফোন সঙ্গে রাখেনি কারা। আত্মীয়ের ফোন থেকেই কথা বলত সে। সেই সূত্রেই কারার গতিবিধি নজরে আসে পুলিশের। এ দিন কলকাতায় ফেরার সময়ে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কারাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর আগে এই ঘটনায় সঞ্জয় গুজরাটি ও অমরদীপ বিশ্বকর্মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৭ অক্টোবর দমদমের পাতিপুকুরের বাসিন্দা আকাশ তাঁর ভাই চন্দনপ্রতাপ কুঁড়ির সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিরিশ পার্ক থানা এলাকার কোম্পানিবাগানের নতুন বাজারে গিয়েছিলেন। কেনাকাটার পরে তাঁরা কারার দোকানে চা খেতে যান। সেই দোকান থেকেই গুটখা কেনেন আকাশ ও চন্দন। অভিযোগ, তাঁদের কাছে গুটখার দাম বেশি চাওয়া হয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। চন্দনের অভিযোগ, লোহার রড দিয়ে তাঁদের মারা হয়। আকাশের মাথা ঠুকে দেওয়া হয় লোহার শাটারে। কারার পাল্টা অভিযোগ, লোহার পাত্র দিয়ে তার মাথাতেও মারা হয়। সেই কারণে এলাকার লোকজন দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন। এর পরদিন এসএসকেএমে আকাশ মারা যান।