মর্মান্তিক: প্রগতি ময়দান থানার কাছে এই জায়গায় নীচে পড়েন ঝন্টুকুমার দাস (ইনসেটে)। রবিবার রাতে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুর তালিকায় ফের ঘটনাস্থল হিসাবে যোগ হল মা উড়ালপুলের নাম। রবিবার রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উড়ালপুলের রুবিগামী রাস্তায়। এক ব্যক্তিকে উড়ালপুলের উপরে গাড়ি থামিয়ে ঝাঁপ মারতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৫০ ফুট উঁচু থেকে পড়েন ওই ব্যক্তি। স্থানীয় মানুষ ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় প্রগতি ময়দান থানা সূত্রের খবর, গাড়ি থেকে পাওয়া নথির ভিত্তিতে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম ঝন্টুকুমার দাস (৫৬)।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রৌঢ় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর পরিচয়পত্রে লেখা রয়েছে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দফতরের গাড়িচালক। যে গাড়ি থেকে নেমে ঝন্টুবাবু ঝাঁপ দিয়েছেন বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই গাড়ির গায়েও সরকারি স্টিকার লাগানো রয়েছে। কাপড় দিয়ে মোড়া লালবাতিও গাড়িতে ছিল। গাড়িটি প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝন্টুবাবুর বাড়ি টালা থানা এলাকার রাজা মণীন্দ্র রোডে। তাঁর দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী শ্রাবণী দাস মুর্শিদাবাদে বেড়াতে গিয়েছেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় ফেরার পথে শ্রাবণীদেবী ফোনে বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েকে নিয়ে মুর্শিদাবাদে বেড়াতে এসেছিলাম। উনি আসেননি। স্বামীর এক সহকর্মী ফোন করে খবরটা দেন।’’ তিনি জানান, বেশ কিছু দিন ঘরে বসে থাকায় ঝন্টুবাবু অবসাদে ভুগছিলেন।