প্রতীকী ছবি।
ঘরের দরজা ভেঙে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে বজবজ থানার পুজালির ছোট বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ আদক (৬১) এবং অরিজিৎ আদক (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দ্রজিতের ছেলে অরিজিৎ জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। বছর খানেক আগে ইন্দ্রজিতের স্ত্রী দীপালি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন ইন্দ্রজিৎবাবু। প্রতিবেশীরা জানান, ইন্দ্রজিৎবাবু ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। বর্তমানে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে তিনি কিছুটা মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েন। ছেলেকে নিয়েই থাকতেন। ধীরে ধীরে তিনিও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত দু’-তিন দিন ধরে বাবা-ছেলের কোনও খবর না পেয়ে এ দিন ইন্দ্রজিৎবাবুদের খোঁজ করেন তাঁদের প্রতিবেশীরা। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘গত তিন দিন ধরেই বাড়ির সদর দরজা বন্ধ ছিল। রবিবার সকালে দরজায় একাধিক বার ধাক্কা দিলেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে বিছানায় অরিজিতের দেহ পড়ে রয়েছে। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে ইন্দ্রজিতের দেহ।’’
পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে স্থানীয় একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বাবা-ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে ইন্দ্রজিৎবাবু গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইন্দ্রজিৎবাবুর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে বজবজ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।