প্রতীকী ছবি।
বারুইপুরের এক আইনজীবী নিখোঁজের ঘটনায় অপহরণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। অভিযোগ, সোমবার বিকেলের পর থেকে বারুইপুর থানা এলাকার রামগোপালপুরের শিবসুতীর বাসিন্দা, ক্ষীরোদগোপাল সর্দার নামে ওই আইনজীবীর খোঁজ মিলছে না। তাঁর পরিজনেদের অভিযোগ, আইনজীবীকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা ১৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭২ বছর বয়সি ওই আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরে বারুইপুর মহকুমা আদালতে ওকালতি করছেন। সোমবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বারুইপুর মহকুমা আদালতের উদ্দেশেই। কিন্তু আর ফেরেননি।
তদন্তকারীরা জানান, ক্ষীরোদবাবুর আত্মীয়েরা তাঁর মোবাইলে ফোন করলে সেটি অন্য কেউ ধরে জানায়, শীঘ্রই আইনজীবী তাঁর বাড়িতে ফিরবেন। তার পরেই ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। চিন্তিত আত্মীয়েরা বার বার ক্ষীরোদবাবুর মোবাইলে ফোন করতে থাকেন।
রাত ১১টা নাগাদ তাঁর ছোট ছেলে বাসুদেব ফোন করলে মোবাইলটি বাজতে থাকে। এক ব্যক্তি ফোন ধরে বাসুদেবকে জানান, ক্ষীরোদবাবু তাঁর প্রচুর টাকার ক্ষতি করেছেন। তাই ১৬ লক্ষ টাকা পেলে তবেই ক্ষীরোদবাবুকে ছাড়া হবে। বাইরের কাউকে কিংবা পুলিশে খবর দিলে ক্ষীরোদবাবুর ক্ষতি হয়ে যাবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। আতঙ্কিত আইনজীবীর পরিবার মঙ্গলবার বারুইপুর থানায় জেনারেল ডায়েরি করে।
বারুইপুরের মহকুমা শাসক অভিষেক মজুমদার ও বারুইপুর থানার আইসি দেবকুমার রায় তদন্ত শুরু করেন। মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করতে শুরু করে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন্স গ্রুপ। বাড়ি থেকে কিছু দূরেই সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন মেলে। তাঁর মোবাইলে ফোনের তালিকা পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সারা দিন তাঁর পরিচিতদের সঙ্গেই কথা বলেছেন ক্ষীরোদবাবু। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।