—প্রতীকী চিত্র।
আপ শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকালের ছাদ থেকে সোমবার বিকেলে উদ্ধার হয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ। ওই ঘটনায় বেশ কিছু সূত্র মিলেছে। যা থেকে রেল পুলিশ এবং রেলের আধিকারিকেরা অনুমান করছেন, ট্রেনটি যখন রানাঘাট থেকে ডাউন হিসাবে শিয়ালদহ অভিমুখে আসছিল, তখনই বেলঘরিয়া স্টেশনের উপরের উড়ালপুল থেকে ওই ব্যক্তি লোকাল ট্রেনে লাফ দিয়ে থাকতে পারেন। এই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও একাধিক সূত্রের তথ্য খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। ময়না তদন্তের রিপোর্ট তার অন্যতম। মৃত্যুর কারণ, সময় ছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রেল সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ ওই লোকাল ট্রেনটি বেলঘরিয়া স্টেশন থেকে ছেড়ে বেরিয়ে আসার মুখে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ওই সময়ে ট্রেনের চালক প্যান্টোগ্রাফ থেকে পটকা ফাটার মতো অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পান বলে রেল সূত্রের খবর। কাছাকাছি সময়ের নথি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, নির্দিষ্ট লাইনের ওভারহেড কেব্লে ওই সময়ে স্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। কিন্তু, তার পরেও ট্রেনটি গতি পেয়ে যাওয়ায় স্টেশন এলাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে ফের তা ওভারহেড কেব্লে বিদ্যুৎ পেয়ে যায়। নতুন করে সমস্যা না হওয়ায় চালকও কোনও অস্বাভাবিকতা টের পাননি বলে মনে করা হচ্ছে। ওই অবস্থায় ট্রেনটি শিয়ালদহ পৌঁছনোর পরে বিষয়টি নজরে আসে এবং তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
প্রাথমিক ভাবে খোঁজ করে বোঝা যায়, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে বিষয়টি ঘটেনি। তখন অনুমান করা হয়, অন্য কোথাও ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে থাকায় রেল এবং রেল পুলিশের পক্ষ থেকে কেউই মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।