গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কলেজ ক্যাম্পাসে পরা যাবে না ‘কৃত্রিম ভাবে ছেঁড়া’ কোনও পোশাক। গত বুধবার পড়ুয়া এবং কর্মীদের উদ্দেশে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ কর্তৃপক্ষ। হিজাব পরে কলেজে প্রবেশ নিষেধ করায় সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয় কর্নাটকে। এ নিয়ে মামলাও হয় আদালতে। যার রেশ ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। এ বার পোশাক বিধি নিয়ে নয়া বিতর্ক বাংলাতেও।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘কৃত্রিম ভাবে ছেঁড়া’ ট্রাউজার্সের প্রসঙ্গ। নির্দেশ অমান্য করে ছাত্রছাত্রীদের কেউ এমন পোশাক পরে এলে তাঁকে ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট’ (টিসি) দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়। শহরের কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে ‘রিপ্ড জিন্স’-এর তুমুল জনপ্রিয়তা। এই পরিস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছে পড়ুয়াদের একাংশ।
এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘অশালীন পোশাক নিষিদ্ধ করার যুক্তি মানা যেতে পারে, কিন্তু রিপ্ড জিন্স নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এমন পোশাক ফতোয়া জারি অযৌক্তিক।’’ তাঁর মতে এই ধরনের নিয়ম তৈরি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দে হস্তক্ষেপ করছেন। কলেজের ওয়েবসাইট থেকে নোটিশটি পাওয়ার পর প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। কলেজের ল্যান্ড লাইন নম্বরে বারবার ফোন করা হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এই পরিসরে উঠে আসছে পাল্টা যুক্তি। এই ধরনের পোশাক কলেজে অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি করে বলেও অনেকের মত। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে মুম্বইয়ের একটি কলেজ ক্যাম্পাসে ছেঁড়া জিন্স নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন নির্দেশিকার পিছনে সামাজিক কারণ রয়েছে বলে দাবি করে বলেছিলেন, ‘ওই ধরনের পোশাক দরিদ্রদের ব্যঙ্গ করে। যাঁদের ছেঁড়া পোশাক পরা ছাড়া কোনও উপায় নেই, তাঁদের কটাক্ষ করে।’