ইউক্রেনে রাশিয়ার সাঁজোয়া বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।
ইউক্রেনে প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযান সমাপ্ত বলে জানাল রাশিয়া। শুক্রবার, যুদ্ধের ৩০তম দিনে রুশ সেনা জানিয়েছে, প্রথম দফায় অভিযানে তাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। তাঁর দাবি, আপাতত আক্রমণের অভিঘাত কিছুটা কমানোর কারণেই রুশ ফৌজের অগ্রগতি থমকে গিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন
শুক্রবার রুশ সেনার ‘ফার্স্ট ডেপুটি চিফ অফ জেনারেল স্টাফ’ কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুডস্কয় এক মাসের যুদ্ধ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘সাধারণ ভাবে সেনা অভিযানের প্রথম পর্যায়ের প্রধান কাজগুলি শেষ হয়েছে। আমরা এখন মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য পূর্ব ইউক্রেনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’’ রুশ সেনার সেই ‘লক্ষ্যের’ কথাও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলেছেন কর্নেল জেনারেল রুডস্কয়— ‘‘ডনবাসের মুক্তি।’’
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সেনার একটি সূত্র উদ্ধৃত করে শুক্রবার সে দেশের সংবাদপত্র ‘দ্য কিভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ দাবি করেছে, আগামী ৯ মে ইউক্রেন অভিযানে ইতি টানতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির চূড়ান্ত পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ওই তারিখেই সরকারি ভাবে সামরিক অভিযানে ইতি টেনেছিলেন অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোশেফ স্তালিন। এখনও রাশিয়া জুড়ে ৯ মে উৎসব পালিত হয়। প্রকাশিত খবরে দাবি, পুতিন এ বার স্তালিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রুশ ফৌজ। তার তিন দিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ‘ডনবাস’ বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি মস্কো। রুশ ফৌজ এবং স্থানীয় রুশভাষীদের নিয়ে গঠিত মিলিশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ডমবাসে মরণপণ লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন সেনা এবং সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী। প্রতিদিনই রুশ সেনার হতাহতের তালিকা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মরিয়া পুতিন-বাহিনী ডনবাস অঞ্চলের একের পর এক ঘনবসতিপূর্ণ অসামরিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবর্ষণ করছে বলে অভিযোগ।