রক্তদাতার হাতে উপহার। পিছনে মঞ্চে তখন হাজির স্থানীয় কাউন্সিলর। রবিবার, দেবেন্দ্রনগরের রক্তদান শিবিরে। নিজস্ব চিত্র
রক্তদানের পরে প্রাপ্ত কার্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খোদ কাউন্সিলর। জনপ্রতিনিধি যখন এ কথা বলছেন, তখন মঞ্চের পাশ দিয়ে উপহার হাতে নিয়ে হাঁটছেন রক্তদাতা। যার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দমদমের দেবেন্দ্রনগরে বিতর্ক তৈরি হতে দেরি লাগল না।
স্বেচ্ছায় রক্ত দিলে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির তরফে একটি কার্ড দেওয়া হয়। এক বছর ওই কার্ডের মেয়াদ থাকে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যব্রত সাঁতরা জানান, কার্ড থাকলেও প্রয়োজনের সময়ে নানা কারণে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি থেকে রক্ত পাওয়া যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রয়োজনের সময়ে রক্ত না পেলে কার্ডের মূল্য কোথায়?’’
রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমাজকর্মীদের মতে, ডোনার কার্ড থাকা সত্ত্বেও সময়ে রক্ত না-পাওয়া নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, কাউন্সিলরের বক্তব্যের ইঙ্গিত সে দিকেই। রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের পরিচালন সমিতির সদস্য অচিন্ত্য লাহা বলেন, ‘‘এই অসন্তোষের কারণে আমার জানা অন্তত তিনটি রক্তদান শিবির বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই কাউন্সিলর প্রচারের জন্য এ সব বলছেন কি না, বুঝতে পারলাম না। তা না হলে উপহার দেবেন কেন?’’
যদিও পরে কাউন্সিলর বলেন, ‘‘উপহার দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি বলতে চেয়েছি, স্বেচ্ছায় দানের রক্ত কারও না কারও কাজে লাগে। কিন্তু যিনি রক্ত দিলেন, কার্ডের মেয়াদ ফুরোলে প্রয়োজনের সময়ে তিনি রক্ত পান না। তখন তো অন্য জায়গায় ছুটতে হয়।’’