সিসিটিভি ফুটেজে এদেরই দেখা গিয়েছে আগুন লাগাতে।
কয়েক দিনের ব্যবধানের পরপর দু’বার হামলা হল বিজেপির কর্মী এবং বেহালার পূর্ব-উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষের উপর। তাঁর উপর শারীরিক হামলা না হলেও কয়েকদিন আগেই তাঁর দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।এ বার তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় কয়েকজনকে আগুন লাগাতে দেখাও গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টাও চালাচ্ছে পুলিশ।
বেহালার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির কাছেই রাস্তার ধারে প্রসেনজিৎবাবুর অস্থায়ী দোকান ছিল। সম্প্রতি রাতে তাঁর দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের প্রশ্রয়েই এই কাণ্ড ঘটেছিল, এমন অভিযোগ তুলে আজ, শুক্রবার বেহালা থানায় এর প্রতিবাদে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। তার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে ফের হামলা হয়। এ বার তাঁর বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ বিজেপির।
একটা সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মুখ ঢাকা অবস্থায় তিনজন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির সামনে আসে, তারপর আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে আবার পুলিশের থেকে প্রসেনজিৎবাবু জানতে পারেন, তাঁর অস্থায়ী দোকানও হরিদেবপুরের একটা পুকুরে পড়ে রয়েছে। এর আগে ওই দোকানটিতেই ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় লোকেদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সকালে হরিদেবপুর পৌঁছে পুকুর থেকে ওই দোকানের কাঠামো উদ্ধার করে। কাঠামোর গায়ে লেখা ফোন নম্বর দেখেই প্রসেনজিৎবাবুকে খবর দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বৌবাজার কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিতে গেলে এ বার মেট্রোকে মুচলেকা দিতে হবে ঘরছাড়াদের
বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি জয় চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। দুষ্কৃতীরা আসলে বুঝতে পারেনি বাড়িতে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে।ধরা পড়ে যাবে।’’
আগুন লাগানোর পর এলাকা ছাড়ছে দুষ্কৃতীরা (বাঁ দিকে)। বিজেপি নেতা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি (ডান দিকে)।
এই হামলার প্রতিবাদে বেহালায় আজ পথে নামছে বিজেপি। বেহালা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাবে তারা।
ছবি: সিসিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া।