প্রতীকী ছবি।
এক নাবালিকার মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জোড়াবাগান থানা এলাকায়। ৯ বছরের ওই নাবালিকা বুধবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকারই একটি বহুতলের সিঁড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শোভাবাজার থেকে জোড়াবাগানে মামারবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। পরিবারের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে তাকে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘‘যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে তদন্ত চলছে। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আমরাও ঘটনাস্থলে আছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ঘটনাস্থলটি আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই আমি এলাকাটি ভাল করে চিনি। এই ধরনের অপরাধের ঘটনা এখানে প্রথম ঘটল।’’ এর পর শশী বলেন, ‘‘শিশুটি তার দিদার কাছে এসেছিল। এখানে যে সে প্রথমবার এসেছে, তা নয়। এর আগেও অনেকবার এসেছে। মেয়েটির বাড়ি যেখানে, সেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাটি আমার বিধানসভা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।’’
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুরলী ধর (অপরাধ দমন শাখা)ও পৌঁছেছেন এলাকায়। পরিবারের পাশাপাশি পুরসভার স্থানীয় কো-অর্ডিনেটরও অভিযোগ করেন, যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে জোড়াবাগান থানার পুলিশ ছাড়াও ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা এসে পৌঁছেছেন। আনা হয়েছে প্রশিক্ষিত কুকুরের দল।
এই ঘটনায় প্রশিক্ষিত কুকুরের দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকায় গোয়েন্দা কুকুরদের বারবার এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। কাছেই রবীন্দ্র সরণি। পুলিশের অনুমান এই পথেই অপরাধী পালিয়েছে।