Bengal Famine

কলকাতার কড়চা: আট দশক পেরিয়ে এসে

মর্মান্তিক এই আকাল বাংলা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল। যুদ্ধ ও কৃষি-সরবরাহ বিপর্যয়ের বলি হন অসহায় পল্লিবাসীরা, বিশ্বযুদ্ধের শহরও কতই বা জোগাতে পারে ত্রাণ!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৪
Share:

খিদে এমন এক অনুভূতি, প্রিয়জনকেও ভুলিয়ে ছাড়ে। আকাল এমন এক বাস্তব, যখন আবেগ সম্পর্ক সমাজবন্ধন সব ছাড়তে পারে মানুষ, এক মুঠো অন্ন বা দু’চুমুক ‘ফ্যান’-এর জন্য, প্রাণটুকু ধরে রাখার জন্য। তেতাল্লিশের মন্বন্তর বাংলার ইতিহাসে এমনই এক অ-মানবিক সত্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সেনার রসদের জোগানদার হিসাবে ভারত তথা বাংলার বাধ্যবাধকতা, সমকালীন রাজনীতির ঝাপট আছড়ে পড়েছিল গ্রামবাংলায়, ভিত কাঁপিয়েছিল শহরেরও। কলকাতা তখন বিজন ভট্টাচার্যের জবানবন্দী বা নবান্ন-র সেই পরাণ বেন্দা পদা প্রধান সমাদ্দারে ভরা এক আঁধারনগরী; গলি থেকে রাজপথে ভুখা মানুষের স্রোত (ছবি), পথপাশে শব যত্রতত্র।

Advertisement

মর্মান্তিক এই আকাল বাংলা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল। যুদ্ধ ও কৃষি-সরবরাহ বিপর্যয়ের বলি হন অসহায় পল্লিবাসীরা, বিশ্বযুদ্ধের শহরও কতই বা জোগাতে পারে ত্রাণ! অগণিতের মৃত্যু হয় অনাহার ও অপুষ্টিতে, নানা রোগে। এমন বিপর্যয় স্বাধীন ভারতে হয়তো আর সেই স্তরে হয়নি, তবে তার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নানা সময়। সম্প্রতিকালের কোভিড-অতিমারি বা ইউরোপের যুদ্ধও কি প্রকারান্তরে মন্বন্তরের স্মৃতিই উস্কে দেয় না?

মন্বন্তরের আশি বছরে এই ইতিহাস ফিরে দেখছে রয়্যাল সোসাইটি অব এডিনবরা রিসার্চ নেটওয়ার্ক: ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, স্কটল্যান্ড ও ভারতের দুর্ভিক্ষ যার চর্চাক্ষেত্র। প্রকল্পে এডিনবরা ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত ভারতের দু’টি প্রতিষ্ঠান, আইআইটি গুয়াহাটি ও পশ্চিমবঙ্গের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (মাকাউট)। তিন প্রতিষ্ঠানের তিন বাঙালি গবেষক— সৌরিত ভট্টাচার্য, রাজর্ষি মিত্র ও বিনায়ক ভট্টাচার্যের উদ্যমে এগিয়ে চলেছে প্রকল্পটি। শুরু ২০২২-এর মার্চে, এর আগে এডিনবরা ও গুয়াহাটি মিলিয়ে হয়েছে তিনটি আলোচনাচক্র, এ বার পালা কলকাতার। ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি চার দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান: প্রথম দিন মাকাউট-এ উদ্বোধন করলেন প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য; মৃণাল সেনের আকালের সন্ধানে ছবিটি দেখানো হল, প্রাসঙ্গিক আলোচনা করলেন মানস ঘোষ।

Advertisement

আজ ৬ জানুয়ারি যদুনাথ ভবন মিউজ়িয়ম অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার-এ বেলা ১২টায় সোমশঙ্কর রায়ের কিউরেশনে ‘মননে পঞ্চাশ: মন্বন্তর ফিরে দেখা’ প্রদর্শনীর শুরু, বিকেল ৫টায় জনম মুখোপাধ্যায় ও সঞ্জয় কুমার মল্লিকের কথালাপ চল্লিশের দশকের বাংলা নিয়ে। আগামী কাল যদুনাথ ভবনেই দুপুর ১টায় দেখানো হবে ধরতি কে লাল ছবিটি, বলবেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও অনুরাধা রায়; বিকেল সাড়ে ৪টেয় মন্বন্তরের স্মৃতিরক্ষা নিয়ে কথায় সুপ্রিয়া চৌধুরী মধুময় পাল অভিজিৎ গুপ্ত মহঃ ইনতাজ আলি ও ঋতুপর্ণা রায়। শেষ দিনে, ৮ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নিউ মার্কেট চত্বরে ‘আ ট্যুর থ্রু হাঙ্গার’, বিশ্বযুদ্ধ ও মন্বন্তরের স্মৃতি জড়িয়ে থাকা শহরে পথ হাঁটা তথাগত নিয়োগীর ‘ইমার্সিভ ট্রেলস’-এর সঙ্গে। শেষ পর্ব মধুসূদন মঞ্চে, বিকেল ৫টায় শুভেন্দু মাইতির গান ও অর্যমা বেজের নৃত্য, সন্ধে সাড়ে ৬টায় বিজন ভট্টাচার্যের জবানবন্দী মঞ্চস্থ করবে ‘আনন্দপুর গুজব’ নাট্যগোষ্ঠী, সূচনাকথায় শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তোমার পরশ

তেরো বছর হল চলে গেছেন তিনি, এমনই এক জানুয়ারিতে। শহর জুড়ে সুচিত্রা মিত্রের (ছবি) স্মৃতি, তাঁর ছাত্রছাত্রীদের মনে তো চিরজাগ্রত। নতুন বছরে দু’টি অনুষ্ঠান তাঁকে নিয়ে। সুচিত্রা মিত্রের সান্নিধ্যধন্য তাপসী মুখোপাধ্যায় ও ‘সংবর্তিকা’র নিবেদন আগামী ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় বেহালা শরৎ সদনে। স্মৃতিচারণ সুচিত্রা মিত্রের তিন ছাত্রছাত্রীর: কাশীনাথ রায় সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায় রবীন মুখোপাধ্যায়; বলবেন পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকারও। সুরসপ্তক, বেহালা সাঙ্গীতিক ও সংবর্তিকা-র বৃন্দগান, আলেখ্য ‘তোমার পরশ আসে’; শিল্পীস্মরণে-গানে তাপসী মুখোপাধ্যায় ও অলক রায়চৌধুরী। অন্য দিকে, জন্মশতবর্ষে সুচিত্রা মিত্র ও সমকালীন শান্তিনিকেতন নিয়ে ‘রবিপরম্পরা’র নিবেদন ‘আমার যে দিন’ ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জি ডি বিড়লা সভাগারে। নির্মাণ ও নিবেদনে অমিত দাশগুপ্ত ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় পীতম সেনগুপ্ত অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় অনিতা পাল ঋতপা ভট্টাচার্য ও সহশিল্পীরা।

জন্মদিনে

১০ জানুয়ারি জন্মদিন সুচিত্রা ভট্টাচার্যের। জনপ্রিয় এই লেখিকার স্মরণে নানা কাজ করে থাকে ‘সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মরণ সমিতি’, আগামী বুধবার ‘সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মারক মেধাবৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠান করছে তারা। সরকার-পোষিত বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির উন্নতির জন্য তীব্র আর্তি বোধ করতেন দরদি মানুষটি, সেই ভাবনা থেকেই তাঁর পরিবারের এই উদ্যোগ। ঢাকুরিয়া বিনোদিনী গার্লস হাই স্কুল ও পরেশনাথ বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির আট জন ছাত্রী পাবেন আর্থিক সহায়তা। নবম বছরে পড়ল এই আন্তরিক উদ্যোগ। সুচিত্রা-সাহিত্য নিয়ে আলোচনা, ওঁর গল্প পাঠ, শ্রুতিনাটক ইত্যাদিও অনুষ্ঠানের অঙ্গ, মধুসূদন মঞ্চে বিকেল সাড়ে ৫টায় মঞ্চস্থ হবে লেখিকার উপন্যাস অবলম্বনে বাঁশদ্রোণী কথামৃত নাট্যগোষ্ঠীর নাটক আবর্ত।

কারা-কাহিনি

‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন-আবহ প্রস্ফুট সতীনাথ ভাদুড়ীর জাগরী উপন্যাসে: পূর্ণিয়া সেন্ট্রাল জেলের প্রেক্ষাপটে, চার চরিত্রের চেতনপ্রবাহ ছুঁয়ে বলা এক ফাঁসির আসামির আখ্যান। একটি রাত পেরিয়ে সকাল হওয়ার সেই নির্দিষ্ট সময়খণ্ডে উঠে আসে বিলু, বাবা, মা ও নিলুর গভীর মনস্তত্ত্ব, সমকালীন রাজনীতি। ১৯৪৫-এর এই উপন্যাস লেখককে চিরস্থায়ী ঠাঁই দিয়েছে বাংলা সাহিত্যে, পেয়েছে প্রথম রবীন্দ্র পুরস্কার, ১৯৬৫-তে দ্য ভিজিল নামে ইংরেজি অনুবাদ হয়েছে ‘ইউনেস্কো কালেকশন অব রেপ্রিজ়েন্টেটিভ ওয়ার্কস’ প্রকল্পে। আগামী ১১ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় আলিপুর মিউজ়িয়মে এই উপন্যাসের সূত্রেই ‘প্রিজ়ন ন্যারেটিভস: লিটারেচার, হিস্ট্রি, পলিটিক্স ইন সতীনাথ ভাদুড়ী’স জাগরী’ নিয়ে বলবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটা অধ্যাপক সুপ্রিয়া চৌধুরী।

শিকড় ছুঁয়ে

দেশজ লোকশিল্পের পরম্পরা জড়িয়ে রেখেছে এ দেশকে, তারই অপরিহার্য অংশ পুতুলনাচ। যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে আধুনিক বা সমকালীন পুতুলনাট্য, তার শিকড় কিন্তু পুতুলনাচের পরম্পরার গভীরে। সেই শিকড়ের সুলুকসন্ধান, সঙ্গে এই সময়ের পুতুলনাচের হালহদিস তুলে ধরতে দক্ষিণ কলকাতার ‘ডলস থিয়েটার’ আয়োজন করেছে ‘পরম্পরা উৎসব’। ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ শিল্পীদের সঙ্গে কথালাপ, পারস্পরিক মতবিনিময় করবেন আধুনিক পুতুলনাট্য শিল্পী, গবেষক, নাট্যকার, অভিনেতা ও দর্শকেরা, আর দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে বেণিপুতুল নাচ। আগামী কাল ৭ জানুয়ারি দুপুর ১টা থেকে, ৭৪বি সেলিমপুর রোডে ডলস থিয়েটারের নিজস্ব অন্তরঙ্গ মঞ্চ ‘পাপেটোরিয়াম’-এ।

মার্গসঙ্গীত

বিবেকানন্দ হল-এ বসে হাজারেরও বেশি সঙ্গীতানুরাগী দিনভর বিভোর হয়ে শুনছেন ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, জানুয়ারির কলকাতায় ফি-বছরের চেনা ছবি। রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্ক ১২ জানুয়ারি, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনটি উদ্‌যাপন করে থাকে তাঁরই নামাঙ্কিত ‘মিউজ়িক ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজনের মাধ্যমে, দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা সেখানে পরিবেশন করেন গান-বাদ্য-নৃত্য। আগামী শুক্রবার সকাল ৮.৪৫-এ উদ্বোধন; সকাল ৯টা, দুপুর ২টো ও সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় তিনটি অধিবেশন। রবীন্দ্র কাতোতি পণ্ডিত রবিশঙ্কর উপাধ্যায় পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় গোপাল বর্মণ পণ্ডিত উলহাস কসলকর পণ্ডিত সুরেশ তলওয়ালকর গুরু থিংবাইজাম চৌরজিৎ সিংহ পণ্ডিত বসন্ত কাবরা পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য বিদুষী মাইসোর মঞ্জুনাথ-সহ প্রবীণ-নবীন শিল্পীরা।

শ্রদ্ধার্ঘ্য

শতবর্ষ অতিক্রান্ত মৃণাল সেনকে অন্য রকম ভাবে শ্রদ্ধা জানাল ফিল্ম-সমালোচনার বিশ্ব সংস্থা ফিপরেস্কি-র ভারত শাখা ‘ফিপরেস্কি ইন্ডিয়া’। গত নভেম্বরে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় অব ইন্ডিয়া-র (এফএফএসআই) স্টলেই দেখা গিয়েছিল তাকে, আগ্রহভরে হাতে তুলে নিয়েছেন অনেকেই। মৃণাল সেনের পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রপঞ্জি— ২৮টি কাহিনিচিত্র, তথ্যচিত্র, টিভি-র কাজের তালিকা সেখানে, আর বারো মাসের বারো পৃষ্ঠায় বারোটি কাহিনিচিত্রের পরিচিত দৃশ্য, এক কোণে পরিচালকের এক-একটি মুখচ্ছবি। রয়েছে বাইশে শ্রাবণ, ভুবন সোম, ইন্টারভিউ, কলকাতা ৭১,পদাতিক, মৃগয়া, ওকা উড়ি কথা, একদিন প্রতিদিন, আকালের সন্ধানে, খারিজ, খণ্ডহর, জেনেসিস (ছবি) ছবিগুলির ‘ফিল্ম স্টিল’: সংগ্রহে রাখার মতো।

জীবনের ছবি

স্বাধীনতা-উত্তরকালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, হাওড়ার রূঢ় জীবনযাত্রা, কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান, ক্রমে শিল্পী-দল ‘ক্যালকাটা পেন্টার্স’ গড়ে তোলা, এই সবই গভীর ছাপ ফেলেছিল শিল্পী মনে। বাস্তবের মুখোমুখি হওয়ার মধ্যে রয়েছে যে নির্মমতা, তা ক্যানভাসে ব্যক্ত হয়েছিল আদিমতা ফুটিয়ে তোলা রঙের প্রক্ষেপণে, তাঁর তুলিচালনায়। রবীন মণ্ডলের জন্ম ১৯২৯-এ হাওড়ায়, ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের স্নাতক এই শিল্পীর সুদীর্ঘ শিল্পজীবনের সমাপ্তি ঘটেছে ২০১৯-এ, নব্বই বছর বয়সে। ‘গ্যালারি ৮৮’-তে চলছে তাঁর আঁকা ১৯৭২-২০১৭ সময়ের চিত্রকৃতির (ছবি) প্রদর্শনী ‘ডিপ স্ক্র্যাচেস’। অঙ্কের হিসাবে পঁয়তাল্লিশ বছর, শিল্পজীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ কৃতি। দেখা যাবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত, সোম থেকে শনি দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৭টা, রবিবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে।

তাঁর অনুবাদে

মহাকাব্য অনুবাদে বাঙালির উদ্যোগ কম পুরনো নয়। উনিশ শতকে বাংলা গদ্যের সাবালক হয়ে ওঠার কালে রামায়ণ-মহাভারত গদ্যে ধারণের প্রয়াস, কেরি দুর্গাশঙ্কর তর্কবাগীশের পর অগ্রণী স্বয়ং বিদ্যাসাগর। সংস্কৃত প্রেস থেকে তাঁর অনূদিত মহাভারতের উপক্রমণিকাভাগ বই হয়ে বেরোয় ১৮৬০-এর জানুয়ারিতে, তার আগেই ১৮৪৯-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক প্রকাশ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-য়। কিছু দূর এগিয়ে কেন থেমে গেল সে অনুবাদ, তার উত্তর কি লুকিয়ে বিদ্যাসাগর-কালীপ্রসন্ন সিংহ সম্পর্কে? না কি তত্ত্ববোধিনী-র কোনও সাংগঠনিক মনান্তর ও সঙ্কটই কারণ? কেনই বা তাঁর অনুবাদের শুধু ৬২টি অধ্যায় গ্রন্থবদ্ধ করলেন বিদ্যাসাগর, বাকি ১৮টি রয়ে গেল পত্রিকাতেই? পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি স্বতন্ত্র গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছে বিদ্যাসাগর-অনূদিত মহাভারত, সঙ্গে তত্ত্ববোধিনী-র পাতায় থেকে যাওয়া ১৮টি অধ্যায়ও, এ যাবৎ অগ্রন্থিত। আনুষ্ঠানিক প্রকাশ আগামী ১০ জানুয়ারি রবীন্দ্রসদন-নন্দন প্রাঙ্গণে সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজ়িন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement