মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফের সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। প্রতীকী ছবি।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফের সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এ বার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ মাদক কারবারিকে। এর আগে গত ৩ মে রাতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ডানকুনির কাছ থেকে এক কোটি টাকার মাদক পাচার করার সময়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ।
গোয়েন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সুকান্তপল্লিতে একটি হোটেলেরউল্টো দিক থেকে দু’টি গাড়ি আটক করা হয়। তার ভিতর থেকে মেলে আড়াই কেজি হেরোইন। গাড়িতে থাকা মাদক চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদেরনাম অজয় পাল, সাবির আহমেদ, সুজন শেখ, গোবিন্দ মণ্ডল এবং সারব শেখ। ধৃত অজয় এবংগোবিন্দের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। সুজনের বাড়ি ক্যানিংয়ে। সাবির নদিয়ার পলাশিপাড়ার বাসিন্দা। ধৃতদের থেকে দু’টি গাড়ি এবংপাঁচটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দমদম থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, সাবির নদিয়া-মুর্শিদাবাদে মাদক পাচারচক্রের অন্যতম পান্ডা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মাদকের যে কাঁচামাল আসে, তা শিলিগুড়ি থেকে সাবির ও তার দলের হাতে চলে আসত। এর পরে তা নিয়ে আসা হত নদিয়া-মুশির্দাবাদের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে ওই মাদকের কাঁচামালের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হত হেরোইন। এর পরে তা নিজের গাড়িতে চাপিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত সাবির। এক তদন্তকারী জানান, এই কায়দায় মাদক পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার রাতেও বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এসেছিল সাবির। যা হাতবদল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল অজয়ের কাছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, অজয় উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় এজেন্টদের কাছে মাদক পাচার করে। এ ছাড়া বাংলাদেশেও মাদক পাচারের কাজে যুক্ত সে। গত সপ্তাহে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ডানকুনির কাছ থেকে যে মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তার সঙ্গেও অজয়ের দলবল যুক্ত ছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এসটিএফের এক কর্তা জানান, মাদক পাচার চক্রের দুই চাঁইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে ওই চক্রের গোড়ায় পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।