সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী। —ফাইল চিত্র।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন এক জনই। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় একাধিক গ্রেফতারি হলেও, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা এক জনই। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে আরও গতি আনতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে ডাকা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের চার জুনিয়র ডাক্তারকে। ইতিমধ্যে, সিবিআই অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ধর্ষণ ও খুনের মামলা সংক্রান্ত বিষয়েই ডাকা হয়েছে ওই চার জুনিয়র চিকিৎসককে।
আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই সূত্র ধরেই সিজিওতে তলব করা হয়েছে ওই চার জুনিয়র ডাক্তারকে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে প্রবেশ করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতালের অন্দরের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে কি না, তা জানার জন্যই সিবিআই দফতরে ডাকা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। আপাতত, সিবিআই দফতরেই রয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয়ের কথা উঠে এসেছিল জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবীর গলায়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও ময়নাতদন্ত নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। ময়নাতদন্তের চালান কোথায়, তা-ও রাজ্যের থেকে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে পাঁচ দিন পর। ফলে বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছিলেন তিনি।