নর্দমায় যুবকের দেহ, পুলিশের অনুমান খুন

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকালে বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে রেলপুকুর সংলগ্ন ঝিলপাড় থেকে উদ্ধার হয় রাজা দাস ওরফে বুম্বা (৩৫) নামে এক যুবকের দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৩
Share:

রাজা দাস

সকালে পরিবারের সদস্যরা যখন তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন, তখন বাড়ির কাছেই একটি নর্দমায় পড়ে ছিল রাজা দাসের দেহ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকালে বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে রেলপুকুর সংলগ্ন ঝিলপাড় থেকে উদ্ধার হয় রাজা দাস ওরফে বুম্বা (৩৫) নামে এক যুবকের দেহ। সকালে এলাকায় সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে পুরকর্মীরা প্রথমে দেহটি দেখেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নর্দমা থেকে ৮০ মিটার দূরে একটি জায়গায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ফলে ওই যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর কপালে কিছু ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই সব চিহ্ন কিছু দিয়ে আঘাত করার ফলে হয়েছে, না কি পড়ে গিয়ে হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ঘটনাটি সম্ভবত খুন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

এ দিন সকালে দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের একাংশ জানান, রাজা মিশুকে ছেলে। তাঁর এমন পরিণতি ভাবতে পারছেন না তাঁরা। দেবাশিস শেঠ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকালে দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাঁরা ভাবতে পারেননি সেটি যে এলাকারই এক বাসিন্দার। মৃতের এক আত্মীয়া গোপা দাস জানান, লিজে ক্যাব নিয়ে ভাড়া খাটিয়ে উপার্জন করতেন রাজা। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে তাঁরা খবর পান, রাজার দেহ নর্দমায় পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় বিধাননগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। রাজা পাড়ার ছেলে হওয়ায় তাঁর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন তিনি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দেশবন্ধুনগরের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন রাজা। সম্প্রতি তাঁর মায়ের একটি অস্ত্রোপচার হয়। মা হাসপাতাল থেকে রাজার বোনের বাড়িতে যান। মৃত ওই যুবকের বাবা স্বপন দাস জানান, মঙ্গলবার রাত সাতটা নাগাদ বাইরে বেরিয়েছিলেন রাজা। তার পরে কয়েক বার ফোনে ছেলের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। রাজা এক বন্ধুর বাড়িতে রাতে থাকবেন বলে জানান তাঁকে। রাত সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে শেষ বার বাবার সঙ্গে কথা হয় ছেলের। রাজা তখন ফোনে বাবার সঙ্গে ওই বন্ধুর কথা বলায়। স্বপনবাবু এ দিন জানান, ওই বন্ধুর গলা অচেনা লেগেছিল তাঁর। ফোনের ও পার থেকে সেই বন্ধু জানান, তাঁর গলা ধরে আছে বলে স্বপনবাবু বুঝতে পারছেন না। এর পরে বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ রাজাকে ফোন করেন তিনি। তখন ফোনটি বন্ধ ছিল।

বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement