জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার তিন। নিজস্ব ছবি।
পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ঋণের টাকা মেটানোর জন্য চাপ। তার পর সেই ঋণগ্রহীতার থেকে অন্তত ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল বিধাননগরে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাগুইআটির বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা দাস (৩৫)। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, সম্প্রতি একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। ফোনে অপরিচিত নম্বর ধরার একটি অ্যাপ থাকায় প্রিয়ঙ্কা দেখেন, ফোনটি এসেছে বিধাননগর সাইবার থানা থেকে। ফোনটি তোলার পরেই ও পার থেকে তাঁকে ঋণের টাকা মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। টাকা না মেটানো হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশকে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, ভয় পেয়েই অপরিচিত নম্বর থেকে পাঠানো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনি প্রথমে ১৮ হাজার ২৩৩ টাকা দেন। এখানেই শেষ নয়, ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরে আরও ৫৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন তিনি। তার পরেই প্রিয়ঙ্কা বুঝতে পারেন, তিনি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার দক্ষিণপাড়া থেকে মিঠুন মণ্ডল (২৩) নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ৯ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কারবারের সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনের খোঁজ মেলে। মিঠুনের বয়ানের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (৪২) এবং সুদীপ্ত সরকার (৪০)। ইতিমধ্যেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানোর কথা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া টাকা দ্রুত উদ্ধার করা হবে।