প্রতীকী চিত্র।
এক বৃহন্নলাকে আটকে রেখে তিন দিন ধরে তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছিল অন্য এক বৃহন্নলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বারুইপুরের মল্লিকপুর থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রত্না চৌধুরী, সোনিয়া ও রুবি।
অভিযোগ, ওই বৃহন্নলার কপালে এবং মুখে জ্বলন্ত কয়লা দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে এই গোলমাল। জখম বৃহন্নলা ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতনের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রত্না ও তাঁর লোকজন যাদবপুরের তালবাজারের কাছ থেকে ওই বৃহন্নলাকে তুলে মল্লিকপুরের বাড়িতে তিন-চার দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন। সেই ছবি মোবাইলে তোলা হয় বলেও দাবি।
ওই বৃহন্নলা মল্লিকপুরের বাড়ি থেকে কোনও রকমে পালিয়ে আসেন। তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। এর পরেই তোলপাড় পড়ে যায় আহত বৃহন্নলার গোষ্ঠীর মধ্যে। খবর পৌঁছয় রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে। এর পরেই বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার তদন্তের নির্দেশ দেন বারুইপুর থানাকে। বারুইপুর থানার আইসি, মহিলা থানার আইসি এবং আরও এক জন এসআই-কে নিয়ে বিশেষ দল গড়া হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বৃহন্নলা গোষ্ঠীর প্রধান, অভিযুক্ত রত্না চৌধুরী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে সেই দল। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “ওই বৃহন্নলার উপরে নির্যাতনের খবর আসতেই বৃহস্পতিবার মল্লিকপুরের বাড়ি থেকে রত্না চৌধুরী-সহ তিন জনকে ধরা হয়েছে।”