—প্রতীকী চিত্র।
মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল রেল পুলিশ। সেই সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে তিন জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সূত্রের খবর, এই পাঁচ জনই খড়্গপুর রেল পুলিশ জেলার শালিমার জিআরপি থানায় কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি রাজ্য রেল পুলিশের তরফে এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত মাসের গোড়ার দিকে। সে দিন সাঁতরাগাছি স্টেশনের ছ’নম্বর প্ল্যাটফর্মের বাইরে শালিমার জিআরপি থানার পুলিশ ১৫৯টি মাদক-মিশ্রিত কাশির সিরাপের বোতল উদ্ধার করে একটি অ্যাপ-ক্যাব থেকে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ রাজা নামে এক জনকে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। অভিযোগ, তিনি অ্যাপ-ক্যাবে করে ওই মাদক-মিশ্রিত কাশির সিরাপ পাচার করছিলেন। পুলিশ গাড়িটিও আটক করে।
রেল পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ওই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে আটক করে জেরা করতেই অন্য দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে সেই দুই পুলিশকর্মীর নামও উঠে আসে তদন্তে। তাঁদের এক জন সাব-ইনস্পেক্টর এবং অন্য জন পুলিশের গাড়ির চালক। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের নাম উঠে আসার পরেই রেল পুলিশের কর্তারা গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন। তাতেই জানা যায় মাদক পাচারে তাঁদের ভূমিকার কথা। এক পুলিশকর্তা জানান, থানার গাড়িও মাদক পাচারে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই ওই পাঁচ জনের ভূমিকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, সরাসরি মাদক পাচারের ঘটনায় এর আগে কোনও পুলিশকর্মীদের নাম না জড়ালেও মাদক পাচারে সাহায্য করার ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনার এক পুলিশকর্মীর নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
কিছু দিন আগেই কলকাতা পুলিশ এলাকার একটি মাদক মামলায় নিরপরাধ এক মহিলাকে গ্রেফতারের অভিযোগে লালবাজারের মাদক দমন শাখার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল লালবাজার।