কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
হাসপাতালের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার (সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি) থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার কিট চলে যাচ্ছে বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আবার, ক্রিটিক্যাল কেয়ার থেকে শুরু করে সাধারণ শয্যা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে চলছে আর্থিক লেনদেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে চলা এমনই বিভিন্ন দুর্নীতিতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের এক নেতা জড়িত বলে অভিযোগ তুলছিল সেখানকার ছাত্র সংসদ। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে তারা লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছিল। সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র সংসদের তরফে দাবি করা হয়, অবিলম্বে ওই সমস্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, বিধায়ক-চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় ও তৃণমূল কর্মী সংগঠনের নেতা জয়ন্ত ঘোষের মদতেই ওই সমস্ত দুর্নীতি চলছে। জানা যাচ্ছে, টাকার বিনিময়ে শয্যা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার কমিটিতে মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারের বিষয়ে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। দু’টি কমিটিতেই ১১ জন করে সদস্য রাখা হয়েছে। তাতে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরাও। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের আন্দোলনের চাপেই কর্তৃপক্ষ এই কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়েছেন।