সেকরাপাড়া লেনের এই জায়গাতেই হয় পুজো। নিজস্ব চিত্র
মেট্রোর কাজের জেরে বিপর্যস্ত সেকরাপাড়া লেনে এ বার আদৌ দুর্গাপুজো হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনও। তবে শহরের দু’টি বড় পুজোর উদ্যোক্তারা পাশে দাঁড়িয়েছেন সেকরাপাড়ার পুজোকর্তাদের। ওই পুজো যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য সব রকম সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। তবে সেকরাপাড়া লেনের পুজোকর্তারা প্রস্তাব আসার কথা স্বীকার করলেও এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তাঁরা জানান, প্রতিমার বায়না দেওয়ার কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে।
সেকরাপাড়া লেনের পুজো কমিটির সম্পাদক আশিস সেন জানান, তাঁদের পুজো ৫৮ বছরের পুরনো। কিন্তু এ বছর পুজো কী ভাবে করা সম্ভব, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। যদিও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ও জগৎ মুখার্জি পার্কের উদ্যোক্তারা ওই পুজো চালু রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির তরফে সজল ঘোষ জানিয়েছেন, ছোট করে পুজো করা হলে তাঁরা আর্থিক ব্যয়ভার বহন করতে রাজি। প্রয়োজনে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ও সেকরাপাড়া লেন, দু’পক্ষের নাম রেখেই পুজো করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
পাশাপাশি জগৎ মুখার্জি পার্কের উদ্যোক্তারা সেকরাপাড়া লেনের উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন, তাঁরা যেন জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজোয় যুক্ত হয়ে আচার-অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে গোটা উৎসবেই অংশ নেন। সেকরাপাড়া লেনের বাসিন্দাদের যুক্ত করেই জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো করতে চান সেখান উদ্যোক্তারা।
যদিও সেকরাপাড়া লেনের পুজো উদ্যোক্তাদের একটি অংশ জানান যে, তাঁরা আদৌ এক মাসের মধ্যে হোটেল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, জানেন না। সেখানকার ক্লাব খোলা যাবে কি না, তা-ও জানা নেই। ফলে এ বছর পুজো করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি। তবে প্রস্তাব নিয়ে তাঁরা অবশ্যই আলোচনা করবেন।