মূল অভিযুক্ত মাহফুজ়ুর রহমান নিজস্ব চিত্র
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গিদমন শাখা ও কলকাতা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকা থেকে মাহফুজুর রহমান-সহ ১৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ধৃতদের বিদেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আনেন মূল অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, দুবাই, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসে পাঠানোর জন্য ওই টাকা নিতেন অভিযুক্ত। প্রথমে তাঁদের ভারতে এনে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড বানাতেন মাহফুজুর। তার পর ভুয়ো ভিসা এবং পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। আটক বাংলাদেশিদের একই ভাবে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। মাহফুজুরের কাছ থেকে প্রচুর জাল নথি উদ্ধার হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গিদমন শাখা থেকে মূল অভিযুক্ত মাহফুজুরের সম্পর্কে জানানো হয় লালবাজারকে। তাঁর মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানের সূত্র ধরে গুলশন কলোনি থেকে ১৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় পাসপোর্ট আইন, বিদেশি আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মূল অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যেতে পারে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে জঙ্গি যোগ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।