প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টি ভেজা রাত-পথে বেপরোয়া গতিতে ছুটে যাওয়া বিলাসবহুল গাড়ি দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের দুর্ঘটনা। এ বারেও দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বেপরোয়া গতিতে ছুটে যাওয়া একটি গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মা উড়ালপুলে। লালবাজার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে শহরে মোট চার জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মা উড়ালপুলে গাড়িটি উল্টে জখম হয়েছেন ১২ জন যাত্রী। সায়েন্স সিটির দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তারই অভিঘাতে বিপরীত দিকে উল্টে যায় সেটি। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালককে। ধৃতের নাম শরিফুল মোল্লা। লালবাজার সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাঁদপুরের ১২ জন বাসিন্দা একটি গাড়িতে করে শুক্রবার রাতে হুগলির ফুরফুরা শরিফে জলসা শুনতে গিয়েছিলেন। শনিবার ভোরে তাঁরা কলকাতায় ফেরার জন্য রওনা দেন। এ দিন গাড়িটি উড়ালপুলে ওঠার কিছু পরেই তপসিয়া রোডের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁ দিকের রেলিংয়ে সেটি ধাক্কা মারে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চালক পুলিশকে জানিয়েছেন, গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘটনার জেরে উড়ালপুলে কিছু ক্ষণ যানজট হয়।
অন্য দিকে, শুক্রবার গভীর রাতে ই এম বাইপাসের ক্যাপ্টেন ভেড়ির কাছে একটি বেপরোয়া মোটরবাইক পিছলে যায়। মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন বরাহনগরের বাসিন্দা রোহিত থাপা। তিনি বর্তমানে বাইপাসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বাইকটির আরোহীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চালক ও আরোহী দু’জনের মাথায় হেলমেট ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ গিরিশ পার্ক থানা এলাকার বিবেকানন্দ রোড ও বিধান সরণির সংযোগস্থলে একটি লরি এবং কন্টেনারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি গাড়িই উল্টে যায়। দু’টি ভারী গাড়ি উল্টে যাওয়ায় ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ক্রেন আনিয়ে গাড়ি দু’টি সরালে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ মুচিপাড়া থানা এলাকার এম জি রোডের মোড়ে একটি মোটরবাইক রাজু গুপ্ত নামে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। আহত নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাইকচালককে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।