প্রতীকী ছবি।
বিমানবন্দর বা সীমান্ত নয়, এ বার সোনা পাচারের ছক ফাঁস একেবারে লোকাল ট্রেনে! কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বিরাটি স্টেশনে হানা দিয়ে দশ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। প্রত্যেকের কাছ থেকে চারটি করে সোনার ‘বার’ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০টি সোনার বারের মোট ওজন ৪ কেজি ৬৬৪ গ্রাম। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বর্তমান বাজারদর প্রায় ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।
শুল্ক দফতর সূত্রের দাবি, সোনা পাচারকারীরা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা হলেও সোনার বারগুলির গায়ে যে চিহ্ন রয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট, সেগুলি বিদেশ থেকে এ দেশে এসেছে। সীমান্তে বিএসএফ কড়া নিরাপত্তার কথা বললেও কোন ছিদ্রপথে সোনাগুলি এ দেশে ঢুকল, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, বারাসতে তাদের প্রিভেন্টিভ শাখার একটি ডিভিশন রয়েছে। খবর এসেছিল, লোকাল ট্রেনে করে সোনা পাচার হতে পারে। সেই মতো তক্কে তক্কে ছিলেন তাঁরা। এ দিন দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ বিরাটি স্টেশনে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয় এবং তল্লাশির সময়ে সোনা উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে জেরা করে শুল্ক অফিসারেরা জেনেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে সোনা এ দেশে ঢুকেছিল। বনগাঁর বাসিন্দারা সেগুলি কলকাতায় নিয়ে আসছিলেন। এর আগেও তিন-চার বার তাঁরা সোনা পাচার করেছেন। কলকাতায় কার কাছে ওই সোনা যাচ্ছিল, তা-ও জানার চেষ্টা করছে শুল্ক দফতর।