মৃত বিমানসেবিকা ঋত্বিকা। নিজস্ব চিত্র।
হেস্টিংসে গাড়ির ধাক্কায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হল বিমানসেবিকার। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাঁর বন্ধু। মঙ্গলবার রাতে বান্ধবী ঋত্বিকা মজুমদারকে নিয়ে স্কুটি করে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা দেবাদিত্য সেন। হেস্টিংসের কাছে পিছন দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা ঋত্বিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক লরির খোঁজে ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল স্কুটিটি। লরির ধাক্কায় স্কুটির চাকা পিছলে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দু’জনে কেনাকাটা করার পর বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বেপরোয়া ভাবে স্কুটি চালানোর জন্য চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন, নাকি ঘাতক লরির ধাক্কাতেই দুর্ঘটনা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাতক লরির খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, ঋত্বিকা এক জন বিমানসেবিকা। বেলুড়ের লালাবাবু সায়ার রোড এলাকার বাসিন্দা তিনি। পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বেলুড়ে। মেয়েটির দিদা, পূর্ণিমা পান বলেছেন, “দুর্ঘটনার কথা রাতেই জেনেছি। কিন্তু ভোরবেলা খবর আসে, ও বেঁচে নেই।”
সম্প্রতি রাতের বেলায় গরফার সাঁপুইপাড়া এলাকায় মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক পথচারীকে পিষে দেন এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। রাতে পুলিশি নজরদারি থাকলেও, বেশ কয়েক দিন ধরে শহরে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ বিষয় আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলোকে।
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থা করে প্রহার, তবু নীরব প্রত্যক্ষদর্শীরা