Kolkata Encroachers Eviction

দখল নিয়ে মমতা-নির্দেশের পর বৃহস্পতি সন্ধ্যা থেকেই তৎপর কলকাতা পুলিশ, সমীক্ষা বিভিন্ন জায়গায়

নবান্নে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, দখল হয়ে থাকা ফুটপাথ ‘দখলমুক্ত’ করার অভিযানের পর্যালোচনা। সেই বৈঠকেই সমীক্ষার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১৮:৪৬
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র ।

বেআইনি দখলদারি নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই সেই কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই হাতিবাগান, মানিকতলা, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড়বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় দখলদারি নিয়ে সমীক্ষা চালাবে পুলিশ। সমীক্ষা হবে অবৈধ পার্কিং নিয়েও। এই কাজের দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় থানা। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করা হবে বলেও কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সমীক্ষা চলাকালীন পরিস্থিতি এবং পদক্ষেপ করার পরের পরিস্থিতির রেকর্ড রাখতেই ভিডিয়োগ্রাফির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, নবান্নে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, দখল হয়ে থাকা ফুটপাথ ‘দখলমুক্ত’ করার অভিযানের পর্যালোচনা। সেই বৈঠকেই উঠে আসে বেআইনি পার্কিংয়ের প্রসঙ্গ। পাশাপাশি মমতা জানান, প্রশাসনের তরফে যে দখলমুক্তি অভিযান শুরু হয়েছে, তা আপাতত এক মাস বন্ধ থাকবে। এই এক মাস ধরে সমীক্ষা করবে প্রশাসন। সেই সময়ের মধ্যে বেআইনি দখল সংক্রান্ত সব সমস্যা মেটাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক মাস আপাতত উচ্ছেদ হবে না। তার মধ্যে আমাদের সার্ভের (সমীক্ষা) কাজ চলবে। কিন্তু তার মধ্যে সব ঠিক করতে হবে।’’

একই সঙ্গে মমতা আরও বলেন, মমতা বললেন, ‘‘হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।’’

Advertisement

তবে মমতা এ-ও স্পষ্ট করেছেন, কারও জীবিকা কেড়ে নেওয়ার জন্য এই সার্ভে তিনি করাচ্ছেন না। কারও ব্যবসা বন্ধ হোক তা-ও তিনি চান না। কলকাতা-সহ সারা রাজ্যকে যাতে পরিকল্পনামাফিক সাজানো যায়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ‘‘কাউকে বেকার করার অধিকার আমাদের নেই। তবে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। আমি চাই না কারও ব্যবসা বন্ধ হোক। কিন্তু বেশি সময় দেওয়া যাবে না। ’’

মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ বার পদক্ষেপ করা শুরু করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সমীক্ষার কাজ করা হবে। কোথায় কোথায় সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, ফুটপাথের উপর কোথায় নিয়ম না মেনেই ব্যবসা করা হচ্ছে, সে বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হবে। সমীক্ষা হবে অবৈধ পার্কিং নিয়েও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement