এই ঘটনায় মোট ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে মারধরের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট নয় জনকে গ্রেফতার করা হল বলে শনিবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে ‘দুর্নীতি’ অভিযোগে গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি নেয় রাজ্য বিজেপি। পদ্মশিবিরের এই কর্মসূচি ঘিরে তেতে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। মধ্য কলকাতায় মহাত্মা গাঁধী রোড ও রবীন্দ্র সরণির ক্রসিংয়ের কাছে এসি দেবজিৎ আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগেরও অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির কর্মসূচিতে পুলিশের আক্রান্তের খবর ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
আক্রান্ত এসিকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ‘‘আমি ওই অফিসারকে বলেছি, আমি আপনাকে স্যালুট করি। আমার সামনে যদি কেউ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিত, পুলিশকে মারত, আমি (নিজের কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) তাদের মাথায় শ্যুট করতাম!’’ অভিষেকের এই মন্তব্য এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করে। এই প্রসঙ্গে শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ব্রিজলাল বলেন, ‘‘এখানে এক নেতা রয়েছেন, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো। তিনি দায়িত্বে থাকলে মাথায় গুলি মারতেন, আমরা তা বুঝেছি।’’
নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাঁদের একাধিক কর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি। বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতও জখম হন। শনিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির পাঁচ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য।