জয় নিশ্চিত হতেই কর্মীদের সঙ্গে আনন্দে মাতলেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
সকালে উঠে অন্য প্রার্থীদের মতো যাননি গণনা কেন্দ্রে। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আসতে শুরু করে ব্যবধান বাড়িয়ে তাঁর এগিয়ে যাওয়ার খবর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হতে থাকে তাঁর জয়। জয়ের সংবাদ নিশ্চিত হতেই ‘দিদি’র পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ দেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাবী কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্রাতৃবধূ প্রার্থীকে আশীর্বাদ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন মমতা। এরপরেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের খবর এসে পৌঁছয় কালীঘাটের বাড়িতে। জানানো হয়, ৬,৪৯৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কাজরী।
কলকাতা পুরসভায় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত হতেই ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসভবন থেকে অসমের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা। মাঝে কালীঘাট মোড়ে নেমে জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়াও জানিয়ে যান তিনি। সেই সময়ও কাজরীও ছিলেন মমতার পাশেই। মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট ছাড়তেই কাজরী চলে যান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের অফিসে। সেখানে কর্মীরা আগে থেকেই সবুজ আবীরে স্নাত হয়ে পালন করছিলেন বিজয় উৎসব। সেখানেই কর্মীদের সঙ্গেই বিজয়োৎসবে শামিল হন তিনি। পরে সংবাদমাধ্যমের অনুরোধে কালীঘাট মোড়ে আসেন কথা বলতে। কিন্তু সেখানে কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে এক সময় পুলিশের জন্য তৈরি ছাউনিতে গিয়ে দাঁড়াতে হয় কাজরীকে। সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন পুত্র আবেশ।
জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন ভ্রাতৃবধূকে? উৎসুক সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজরী বলেন, ‘‘জয়ের পরেই দিদির আর্শীবাদ নিয়েছি। তিনি বলেছেন, এগিয়ে যাও। আর কোনও অসুবিধা হলে আমরা পাশেই আছি।’’ এই নির্বাচনে তাঁকে এবং তাঁর স্বামী কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই প্রশ্ন করতেই কাজরীর উত্তর, ‘‘ভোটে ওদের কাছে কিছুই বলার ছিল না। তাই বলেছে, তবে আমি আর এ সব নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।’’প্রসঙ্গত, কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে কাজরীই তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি ভোট রাজনীতিতে পা রেখে জয় পেলেন।