প্রচারের ফাঁকে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের অফিসে স্বামী কার্তিক ও পুত্র আবেশের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
কোটি টাকা খেটে রোজগার করা। তাই কারও অভিযোগের জবাব দেবেন না তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার পুরভোটে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ বলে কাজরীকে নিয়ে কৌতূহল রয়েছে জনমানসে। মনোনয়ন দাখিলের পর থেকেই শুরু হয়েছে কাজরীর বিষয়আশয় নিয়ে জোর আলোচনা। মূলত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিই এ নিয়ে সরব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার বিষয়টি নিয়ে নেটমাধ্যমে সরব হয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন।
প্রথম বার ভোট যুদ্ধে নেমেই এমন আক্রমণের মুখে পড়তে হবে ভাবেননি কাজরী। আক্রমণের মুখে পড়ে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে কাজরীর সাফ জবাব, ‘‘কোটি টাকা আমরা খেটে রোজগার করেছি। এবং তার হিসেব আয়কর দফতরকে দেওয়া আছে। সেই আয়ের প্রেক্ষিতে আয়করও দিয়েছি আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার মনে হয় বিরোধীদের আমাদের সরকার বা পুরসভা পরিচালনা নিয়ে কোনও কথা বলার নেই। তাই এ ভাবে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি তাদের অভিযোগের কোনও জবাব দেব না।’’
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী কাজরীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৯৯ টাকা।কাজরীর দেওয়া হিসাব অনুয়ায়ী, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৮৩ টাকা। আর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লক্ষ ২৬ হাজার ১১৬ টাকা। হলফনামায় কাজরী কমিশনকে জানিয়েছেন, কালীঘাট সংলগ্ন এলাকা, ওড়িশা এবং বোলপুরে ৯টি জমি-জায়গা রয়েছে তাঁর। তাঁর স্বামী কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। কার্তিক আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমরা তো আর চোর নই যে, সব কিছু লুকিয়ে রাখব! যা আছে তা অবশ্যই বলব। আমি নিজে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করি। এ ছাড়াও যে সব পথে আয় করি তা-ও বৈধ। সবকিছুই কাজরীর হলফনামায় জানিয়েছি। জনতা বা দেশকে মিথ্যা বলে ভোটে দাঁড়াব, এমন ভাবনা বা ইচ্ছা আমাদের নেই।’’