অ্যাডিনোভাইরাসের হামলা রুখতে বুধবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছে। — ফাইল চিত্র।
শহরে অ্যাডিনোভাইরাসের হামলা রুখতে এ বার পুরকর্মীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা। বুধবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছে। যদিও এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে অ্যাডিনোভাইরাসের কথা বলা হয়নি, তবে শিশুদের ভাইরাল জ্বরের সংক্রমণ থেকে রুখতেই যে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশিকায় আলাদা আলাদা করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক ও আশা কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির থেকে সচেতনতামূলক প্রচার করতে বলা হয়েছে। কোনও অসুস্থ শিশু পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে, অভিভাবকদের কাছ থেকে তার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে বলা হয়েছে মেডিক্যাল আধিকারিকদের। শারীরিক অবস্থা বুঝে শিশুটির চিকিৎসা বাড়িতে রেখে হবে, না হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন রয়েছে, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের উপরেই। স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের অসুস্থতা প্রসঙ্গে জানতে হবে। যদি অসুস্থতার কোনও খবর মেলে, তবে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার বন্দোবস্তও করতে হবে। ফার্মাসিস্টদের নির্দেশে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া, তাঁরা যেন কোনও ওষুধ কাউকে না দেন। ল্যাবেরটরি টেকনোলজিস্টদের বলা হয়েছে, তাঁরা শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট পাঠাবেন।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শিশু অসুস্থ হলে যে বাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না, তা-ও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলেই কাছের কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অসুস্থ শিশুকে কোনও ভাবেই যে কোনও দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ানো যাবে না।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘শিশুরা অসুস্থ হলেই তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। ফলে সেখানে সে যেমন চিকিৎসক পেয়ে যাচ্ছে, তেমনই তার ঠিক কী হয়েছে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার পরিষেবাও দেওয়া সম্ভব হবে। শিশুটির স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যেমন ফলো আপের ব্যবস্থা রাখা হবে তেমনই বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার বন্দোবস্তও থাকবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার সব ওয়ার্ডেই আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। ফলে সব সুযোগসুবিধা সেখানে রয়েছে। পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি, প্রচারের বিষয়টিও আমরা চালু রাখব। কারণ জনসচেতনতা না থাকলে কোনও রোগের মোকাবিলাই সম্ভব হবে না।’’