কবে মিটবে কেবল টিভি নিয়ে সমস্যা? প্রতীকী ছবি।
দু’এক দিনের মধ্যে যাবতীয় জট কাটিয়ে কেবলে ফিরতে পারে যাবতীয় জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি। বুধবার সকাল পর্যন্ত পছন্দের চ্যানেল দেখতে পাননি দর্শকদের একাংশ। ডেন, হ্যাথওয়ে এবং জিটিপিএলের দর্শকরা জি, স্টার এবং সোনির চ্যানেলগুলি দেখতে পাচ্ছেন না দর্শকরা। গত শনিবার থেকেই ওই সংস্থাগুলির আওতাধীন চ্যানেলগুলি বন্ধ। যে কারণে ক্রমশ দর্শকদের ক্ষোভ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা নষ্টের ভয় পাচ্ছেন কেবল অপারেটররা। দেশের ৮টি হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে। কেরল হাই কোর্টে সোম ও মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয়েছে। কেবল অপারেটরদের আশা, বুধবার কেরল হাই কোর্ট এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিলে বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁরা স্বাভাবিক কেবল পরিষেবা দিতে পারবেন। আবার কলকাতা হাই কোর্টে সোমবার মামলা দায়ের হলেও, দু’দিনের কর্মবিরতির কারণে মামলার শুনানি হয়নি। বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হলে আশার আলো দেখছেন কেবল অপারেটররা। মামলাকারী আইডিয়াল কেবল অপরেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাপস দাস বলেন, ‘‘আমরা কেবল অপারেটররা মাত্র ১টি সিনেমার চ্যানেল দিয়ে পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করি। ধীরে ধীরে আজ লাখ লাখ মানুষ এই কেবল টিভি পরিষেবা দিয়ে রুজিরুটির ব্যবস্থা করছেন। এ ভাবে ট্রাই যদি একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে প্রতিবাদের পথে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর উপায় থাকবে না।’’
মঙ্গলবার কেবল অপারেটরদের সংগঠন বিশ্ববাংলা কেবল টিভি অপারেটর ইউনিয়ন বিক্ষোভ দেখায় উল্টোডাঙার কেসিবিপিএল-জিটিপিএলের অফিসের সামনে। প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে তাঁদের সমস্যা আগামী দু’এক দিনের মধ্যে সমাধান করার মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মূলত বন্ধ করা হয়েছে সোনি, স্টার ও জ়ি-এ চ্যানেলগুলি। কারণ, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর নতুন মাসুল নীতি কার্যকর হওয়ার পর দাম বাড়িয়ে এমএসও-দের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চান চ্যানেলগুলির মালিকপক্ষ। তাঁদের ঠিক করে দেওয়া দামেই এমএসও এবং কেবল আপরেটরদের চ্যানেল চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি একতরফা ভাবে মেনে না নেওয়ায় কলকাতার সঙ্গে সারা দেশেই কেবল টিভির জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় অপারেটররা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ, দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের। কোনও রকম আগাম খবর ছাড়া এ ভাবে চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন তাঁরাই। চ্যানেলগুলির মালিক সংস্থা এক ধাক্কায় ৩০-৩৩ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ কেবল অপারেটরদের। তাঁদের আরও দাবি, ‘‘একতরফা ভাবে ট্রাই ও ব্রডকাস্টারদের নীতি মেনে নিলে টিভি দেখার খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে গ্রাহকরা বিকল্প মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হবেন। এমনটা হলে এক দিকে যেমন এমএসওদের ব্যবসা মার খাবে, তেমনই স্থানীয় স্তরের কেবল অপারেটরদের ব্যবসাও উঠে যাবে।’’ তবে আপাতত দ্রুত কেবল পরিষেবা সমাধান করাই লক্ষ্য সব পক্ষের।