মঙ্গলবার দুপুরে ফ্ল্যাটবাড়িটি বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়ে। — ফাইল চিত্র।
সকাল থেকে ফের শুরু হয়ে গিয়েছে বাঘাযতীনে হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে বুলডোজ়ার নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন ভাঙার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরকর্মীরা। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দুপুর ১টা নাগাদ বাঘাযতীনে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। বুধবারও চলেছিল কাজ। ইতিমধ্যেই ফিরহাদ এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্ব তাঁরই হাতে। ওই এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন ববি।
মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে ‘শুভ অ্যাপার্টমেন্ট’ নামে ওই ফ্ল্যাটবাড়িটি বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়ে। তবে বাসিন্দাদের কেউ সেখানে ছিলেন না, তাই বড়স়ড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুরসভার আবাসন বিভাগের আধিকারিকেরা। পৌঁছন যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এবং স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্তও এলাকায় যান। রাতেই এ নিয়ে এফআইআর দায়ের হয় নেতাজিনগর থানায়। শুরু হয় বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া। ঘটনার পর থেকেই ওই বহুতলের প্রোমোটার সুভাষ রায় ফেরার। তাঁর খোঁজ চলছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মাসখানেক আগেই বাঘাযতীনের ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছিল বাড়িটি। গত ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল বাড়ি ‘সোজা করার’ প্রক্রিয়া। সেই সময় তরফে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর ১০-১২ আগে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি ভাবে ওই বহুতল নির্মাণ করা হয়েছিল। চারতলা বাড়ি নির্মাণের অনুমোদনও ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও এই দায় বাম সরকারের উপরে চাপিয়েছেন ফিরহাদ।