কলকাতা হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদের ইন্টারভিউ দিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বহু প্রার্থীকে। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নির্দিষ্ট দিনে বহু চাকরিপ্রার্থীর নথি যাচাই করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই নিয়োগে ফের অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৩ জন চাকরিপ্রার্থী।
মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে সেই মামলার শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে অনলাইন পোর্টালে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ জমা নেওয়া হচ্ছে। তা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই পর্ষদ নথি যাচাই এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকবে। বিচারপতি জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সেই অনুযায়ী নথি জমা দিলে ইন্টারভিউয়ের জন্য পর্ষদ যথাযথ পদক্ষেপ করবে।
এ দিন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রেশমী ঘোষ তাঁদের মক্কেলদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা আদালতে জানান।
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অনলাইন পোর্টালে নথি জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁরা জানান। দিব্যেন্দুবাবু পরে জানান, চাকরিপ্রার্থীদের মৌখিক ভাবেই বাতিল বলে পর্ষদ জানিয়েছিল। তাঁদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখানো হয়নি। ওএমআর শিট দেখানোর আর্জি জানানো হয় কোর্টে। পর্ষদের আইনজীবী আশ্বাস দিয়েছেন যে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট দেখানো হবে।