এর আগেও কলকাতায় ভিএইচএফ বিগড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফাইল চিত্র।
অবাধ আকাশে ওড়ার সময়েও পাইলটদের নিয়মিত মৌখিক যোগাযোগ থাকে মাটিতে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে। সেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে শুধু সমস্যা নয়, আশঙ্কা থাকে বিপদেরও। সেটাই হল মঙ্গলবার।
কোথাও মাটির তলার কেব্ল কেটে গিয়েছিল। কী করে কাটল, তা জানেন না কলকাতা বিমানবন্দরের অফিসারেরা। কিন্তু তার জেরে কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসি-র অধীনে থাকা দু’টি আকাশ এলাকায় পাইলটদের সঙ্গে মৌখিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় অফিসারদের। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি বা ভিএইচএফ মারফত পাইলটদের সঙ্গে নিয়মিত মৌখিক যোগাযোগ রাখেন এটিসি অফিসারেরা। সেই মৌখিক যোগাযোগ যদি বন্ধ হয়ে যায়, সমস্যা হয় বিস্তর।
বিমানবন্দরের খবর, মঙ্গলবার সকালে ভুবনেশ্বর ও রায়পুরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানের সঙ্গে কলকাতা এটিসি-র এই ভিএইচএফ যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সকাল প্রায় ৭টা ৫ মিনিট থেকে ৯টা পর্যন্ত এই সমস্যা চলে। বিএসএনএলের তরফে ভূগর্ভে কেব্ল সারানোর পরে সমস্যা মেটে। তবে যত ক্ষণ সমস্যা ছিল, তত ক্ষণ কলকাতার এটিসি-র মনিটরে ওই দুই আকাশসীমায় ওড়া বিমানের ছবি দেখা গিয়েছিল।
এটিসি-র এক কর্তা বলেন, “ওই আকাশসীমার মধ্যে দুই বিমানের মধ্যে যাতে বেশি ব্যবধান থাকে, সেই ছবি দেখেই আমরা তার ব্যবস্থা করছিলাম। বিমানগুলি ওই আকাশসীমায় ঢোকার আগেই অঙ্ক কষে নির্দেশ পাঠিয়ে উচ্চতা বদলে দেওয়া হচ্ছিল। কাজটা বেশ ঝক্কির।” এই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতায় ভিএইচএফ বিগড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাতে সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও বিমানবন্দরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, এর ফলে যে-কোনও দিন বড় সমস্যা দেখা দেওয়া অসম্ভব নয়।