ফিরহাদ হাকিম। — ফাইল চিত্র।
শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বাড়ছে ডেঙ্গি। অন্য দিকে, দরজায় কড়া নাড়ছে শারদোৎসব। তার আগে কলকাতা শহরের ডেঙ্গির উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আশ্বাস দিতে পারছেন না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাই উৎসবের মরসুমে কলকাতাবাসীকে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই থাকতে হবে বলে মনে করছে শহরবাসীদের একাংশ।
শনিবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাব মেয়র বলেন, ‘‘আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্যান্য শহরের তুলনায় এখনও কলকাতায় ডেঙ্গি অনেকটা কম। সেটা যাতে কম থাকে, সেই জন্য আমরা চেষ্টা করছি। যে হেতু এখন আর লকডাউন নেই, করোনা নেই, মানুষের মুভমেন্ট রয়েছে। এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় মানুষ যাওয়া-আসা করছে। মানুষের এ রকম মুভমেন্টের কারণেই ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ছে। কোথায় মশা কামড়াচ্ছে, তা তো বলা মুশকিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা প্রচার আরও বাড়াচ্ছি। মানুষ যাতে সচেতন হয়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে কাজগুলো রয়েছে, তার অন্যতম হল এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। টেস্টিং টাইম আরও বাড়িয়ে দেওয়া। ডেঙ্গি ধরা পড়লে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এবং তেমন পরিস্থিতি হলে ব্লাড কাউন্ট চেক করা, যাতে আক্রান্তকে সাহায্য করা যায়। ’’
তার পরেই প্রশ্ন ওঠে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শারোদোৎসব শুরু হয়ে যাবে। সেই সময় কি ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব? জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘প্রচারও হবে, পুজোও হবে। যেখানে আমরা জন্মেছি, সেই জায়গার উপর দিয়ে ক্রান্তীয় রেখা গিয়েছে। সেখানে প্যাচপেচে আবহাওয়া থাকবে। সেখানে ডেঙ্গি ও আমাশয় হবে। তার মধ্যেই আমাদের লড়াই করতে হবে।’’ উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতা পুরসভা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের সংখ্যা প্রসঙ্গে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা উদ্বেগজনক। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮০৩ জন। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২৭৯০। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৩ বেড়ে গিয়েছে।
মেয়রের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। ফিরহাদ বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকদের রাত পর্যন্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শনি ও রবিবার ছুটির দিনেও খোলা রাখা হচ্ছে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি।