—ফাইল চিত্র।
আগামী বছর কলকাতা পুরভোটে তফসিলি জাতি, তফসিলি মহিলা এবং সাধারণ মহিলাদের জন্য কোন কোন ওয়ার্ড সংরক্ষিত হবে, তার একটি খসড়া তালিকা মঙ্গলবার পুর মহলে প্রকাশিত হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বতর্মান পুর বোর্ডের শাসক দলের চার জন মেয়র-পারিষদের ওয়ার্ডই সংরক্ষিত হতে পারে। আরও যা জানা গিয়েছে, তাতে মহিলাদের জন্য ৪৫টি এবং তফসিলি জাতির জন্য আটটি ওয়ার্ড (যার মধ্যে তফসিলি মহিলার জন্য তিনটি) সংরক্ষিত হতে পারে।
ওই খসড়া তালিকা অনুযায়ী কলকাতার তিন নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হতে পারে। তা হলে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেনকে সরতে হবে। পুরসভার বস্তি এবং পরিবেশ দফতরের মেয়র-পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হবে। এ ছাড়া আইন ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) দফতরের মেয়র-পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের ৯০ নম্বর ওয়ার্ড, রাস্তা দফতরের মেয়র-পারিষদ রতন দে-র ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং জঞ্জাল অপসারণ দফতরের মেয়র-পারিষদ দেবব্রত মজুমদারের ৯৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মহিলা ওয়ার্ড হিসেবে সংরক্ষিত হবে।
প্রস্তাবিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের ১০৭ নম্বরটি সাধারণ তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হতে পারে। আবার ১৬ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্যের ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হতে পারে সাধারণ মহিলা কোটায়। এ বারের সংরক্ষণের খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে ৩-৬-৯ পদ্ধতিতে। সেই অনুযায়ী কোনও একটি ওয়ার্ড থাকবে মহিলাদের জন্য। এর পরে দু’টি ওয়ার্ড সাধারণ থাকবে। তার পরেরটি আবার মহিলা হিসেবে সংরক্ষিত হবে।
খসড়া তালিকা জানাচ্ছে, সাধারণ তফসিলি জাতির জন্য ৩৩, ৫৮, ৭৮, ১০৭, ১১০, ১২৭, ১৪১ ও ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড (তফসিলি মহিলার জন্য ৩৩, ৭৮, ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত হতে চলেছে। ওই খসড়া তালিকা এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানোই হয়নি।
তবে তালিকাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে উদ্বেগের পাশাপাশি ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার পুরভোটে ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। পরে অনুমোদনের তা পাঠাতে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেখান থেকে অনুমোদিত হয়ে আসার পরেই সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
যেটিকে ঘিরে এখনই এত জল্পনা, উদ্বেগ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি তা হলে কোন তালিকা?
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারের পক্ষ থেকে একটি খসড়া তালিকা বানানো হয়। এই তালিকা সেটিও হতে পারে। তবে পুর প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সংরক্ষণের কোনও তালিকাই এখনও প্রকাশ করা হয়নি।