KMC

KMC Election 2021: কলকাতার পরবর্তী মেয়র কে, এগিয়ে রয়েছেন ফিরহাদই

তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার পরবর্তী মেয়র হিসাবে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে বিদায়ী মেয়র তথা পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৫৮
Share:

কলকাতার পরবর্তী মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।

কলকাতার পুরভোটে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। এ বার অপেক্ষা পরবর্তী মেয়রের নাম ঘোষণার। বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাস হলে নবনির্বাচিত তৃণমূলের কাউন্সিলরদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে হাজির থাকবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায় ও দেবাশিস কুমার।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার পরবর্তী মেয়র হিসাবে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে বিদায়ী মেয়র তথা পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। অন্য একটা অংশের মতে আবার, মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ষষ্ঠবার জয়ী তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। যদি তিনি মেয়র পদে মনোনীত হন, তাহলে মালাই হবেন কলকাতার প্রথম মহিলা মেয়র। তবে ফিরহাদ-মালার মধ্যে মেয়রের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন কলকাতা বন্দরের বিধায়ক। তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, মালাকে ফের চেয়ারপার্সন করা হতে পারে। কে ডেপুটি মেয়র হবেন? কারা হবেন মেয়র পারিষদ? এমন প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে কলকাতার রাজনীতির অন্দরমহলে। তবে সব প্রশ্নের উত্তর মহারাষ্ট্র নিবাসে না-ও মিলতে পারে বলেই জানাচ্ছে তৃণমূলের ওই সূত্র।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের দ্বিতীয় বার কলকাতা পুরসভা দখলের পর তৃণমূলের মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ সালেও পুরভোটে জয়ের পর স্নেহের ‘কানন’-এর উপরেই আস্থা রেখেছিলেন মমতা। শোভনকে মুখ্যমন্ত্রী ওই নামেই ডাকেন।কিন্তু ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত কারণে মন্ত্রিসভা-সহ কলকাতার মেয়র পদ ছেড়ে দেন শোভন। ওই বছরের নভেম্বরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পুর আইন সংশোধন করে কলকাতার মেয়র করা হয় ফিরহাদকে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে মেয়র পদ সামলেছিলেন তিনি। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের কারণে পুরভোট পিছিয়ে গেলে পুরপ্রশাসক করা হয় ফিরহাদকেই।

Advertisement

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ের পর পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বদলে পরিবহণ ও আবাসন দফতর দেওয়া হয় ফিরহাদকে। তারপরেই তৃণমূল ঘোষণা করেছিল, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির। একের বেশি পদে থাকতে পারবেন কেউই। কিন্তু কলকাতার পুরভোটে সেই নীতি ভেঙে প্রার্থী হয়েছেন দলের সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রীদের অনেকেই। সেই নীতি যখন পুরভোটের প্রার্থিতালিকা ঘোষণাতেই ভেঙে গিয়েছে, তখন কলকাতার মেয়র মনোনয়নের ক্ষেত্রেও ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ না-ও মানা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement