— প্রতীকী চিত্র।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কী ভাবে স্মোক গ্রেনেড ব্যবহার করা যায়, তারই প্রশিক্ষণ চলছিল জেলা পুলিশ লাইনে। আচমকা সেই গ্রেনেড বিস্ফোরণে জখম হলেন দুই পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে ট্রেনিং চলাকালীন ওই বিপত্তি হয়। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারও। কার ভুলে ওই দুর্ঘটনা হল, তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণের সময় এক পুলিশকর্তা একটি গ্রেনেড কয়েক জন অফিসারের পায়ের দিকে ছুড়ে দিয়ে জানিয়েছিলেন, ওতে কিছুই হবে না। কিন্তু গ্রেনেডটি মাটিতে আছাড় খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শব্দ করে ফেটে যায়। শার্পনেল ছিটকে দুই পুলিশকর্মী জখম হন। দু’জনকেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এক এএসআই পদমর্যদার পুলিশকর্মীর পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁকে দুর্গাপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১৫০ আধিকারিকের উপস্থিতিতে কনস্টেবলদের নিয়ে প্রশিক্ষণ চলছিল। গ্রেনেড থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বুঝতে পারেননি কেউ। প্রশিক্ষণের সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও মিটিং-মিছিলে গন্ডগোল হলে প্রায়শই এমন জিনিস ব্যবহার করে থাকে পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্তেরা যাতে ভাল ভাবে চিকিৎসা পান, সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এএসআই ছাড়া এক জন কনস্টেবলও জখম হয়েছেন। তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘এটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। ট্রেনিংয়ের সময় স্মোক গ্রেনেডের শার্পনেল ছিটকে এক জনের পায়ে আঘাত লেগেছে।’’