শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের অন্দরে তাঁর ভূমিকা নিয়ে জল্পনা ছিলই। নিজেই এ বার সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের আইনজীবী-নেতা কৌস্তভ বাগচী মন্তব্য করলেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছে ‘অচ্ছুত’ নন! কৌস্তভের দাবি, ‘‘বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। বিজেপিতে থেকে শুভেন্দু সবটা করতে পারছেন না, এর জন্য একটি বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন।’’ কংগ্রেসের এই তরুণ নেতার মতে, বিজেপি বা শুভেন্দুর সঙ্গে অনেক বিষয়ে মতের পার্থক্য থাকলেও বিরোধী দলনেতার লড়াই অগ্রাহ্য করা যাবে না। রাজনীতি ‘মজাদার পরিস্থিতি’র দিকে এগোচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়ে ধৈর্য ধরার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক কালে কখনও পি চিদম্বরম, কখনও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কখনও অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেছেন কৌস্তভ। এ বার আব্দুল মান্নানের নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আমাদের এক জন বিরোধী দলনেতা ছিলেন, মানুষ জানতই না! এখন বিরোধী দলনেতা কে, মানুষ জানেন।’’ রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতাদের সম্পর্কে প্রায়শই এই রকম ‘তাচ্ছিল্যে’র সুর শোনা যায় স্বয়ং বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর মুখে। সেই সুরই এ বার ধরা পড়েছে কৌস্তভের কথায়। বাংলা গান ‘আরও কাছাকাছি, আরও কাছে এসো’র কলি মনে করিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী কার কাছে কেন অচ্ছুত নন, তিনিই জানেন। মনে করিয়ে দিতে চাই, তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে এই শুভেন্দুই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেস ভাঙানো, বোর্ড দখলে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই ভূমিকা কংগ্রেস কর্মীরা ভোলেননি।’’ কংগ্রেসের মুখপাত্র ফের বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূল, দু’দলের বিরুদ্ধেই তাঁদের লড়াই চলবে।