Justice Kaushik Chanda

Kaushik Chanda: বিতর্কের আবহে স্থায়ী বিচারপতি হলেন কৌশিক

বিচারপতি চন্দকে স্থায়ী পদে নিয়োগের ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুখ্যমন্ত্রীর মতামত চেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫৫
Share:

বিচারপতি কৌশিক চন্দকে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী পদে নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। নিজস্ব চিত্র।

আপত্তি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শেষ পর্যন্ত বিচারপতি কৌশিক চন্দকে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী পদে নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। আইন শিবির সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী হাই কোর্টের সব বিচারপতি প্রথমে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম তাঁদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করে।

Advertisement

বিচারপতি চন্দকে স্থায়ী পদে নিয়োগের ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুখ্যমন্ত্রীর মতামত চেয়েছিলেন। তার জবাবেই নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন মমতা। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি চন্দের এজলাস থেকে স্থানান্তর করার আবেদন জানানোর সময় তৃণমূল নেত্রীর তরফে উচ্চ আদালতকে এ কথা জানানো হয়েছিল। বিচারপতি চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর তরফে। কৌশিকবাবু যখন আইনজীবী ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিকেও তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তি জানানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর আইনজীবীরা। এ ভাবে নানান প্রশ্ন ও আপত্তি ওঠার পরে বিচারপতি চন্দ নন্দীগ্রামের সেই নির্বাচনী মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি নেন। তবে সেই সঙ্গে তিনি আবেদনকারীর তরফে যে-সব যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এমনকি, যে-ভাবে মামলা সরানোর আবেদন জনমানসে তুলে ধরা হয়েছে, তা যথাযথ নয় বলে জানিয়ে তৃণমূল নেত্রীর পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি চন্দ। সেই সঙ্গেই তিনি নির্দেশ দেন, ওই জরিমানার টাকা অতিমারিতে আক্রান্ত আইনজীবীদের কল্যাণে রাজ্য বার কাউন্সিলের তহবিলে জমা দিতে হবে।

রাজ্যের আইনজীবী শিবিরের অনেকে বলছেন, নন্দীগ্রামের নির্বাচনী মামলার সময় বিচারপতি কৌশিক চন্দকে নিয়ে যে-ভাবে বিতর্ক হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে কলকাতা হাই কোর্টের ক্ষেত্রে সেটা নজিরবিহীন।

Advertisement

হাই কোর্ট সূত্রের খবর, বিচারপতি চন্দের জন্ম ১৯৭৪ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে আইনে স্নাতক হওয়ার পরে ১৯৯৮ সালে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে স্বাধীন ভাবে ওকালতির পাশাপাশি কৌশিকবাবু ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। তার পরে বিতর্কের মধ্যে স্থায়ী হল তাঁর বিচারপতি-পদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement