তাঁর অজ্ঞাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তদন্ত চেয়ে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। — ফাইল চিত্র।
কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। অথচ শিশিরের অভিযোগ, তিনি নিজেই সে কথা জানেন না। শনিবার সেই রহস্যময় অ্যাকাউন্টের কথা জানা মাত্রই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে অভিযোগ জানালেন শিশির। শনিবার সকালে কাঁথির সাংসদের বাসভবনে একটি চিঠি আসে। ইন্ডিয়ান ওভারসিস ব্যাঙ্কের মেচেদার মাছনা শাখা থেকে চিঠিটি পাঠানো হয় বলে অধিকারী পরিবার সূত্রে খবর। ওই চিঠি আসার পরেই তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি জানতে পারেন শিশির। আইনি পরামর্শ নিয়ে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে অভিযোগপত্র পাঠানো হয় দ্রুত।
চিঠিতে অশীতিপর সাংসদ লিখেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। এবং এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অ্যাকাউন্টটি খুলতে কোনও তথ্য বা নথিও তিনি দেননি। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক অর্থ মন্ত্রক, এমনই আবেদন জানিয়েছেন শিশির। তাঁর দাবি, ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এ সব করা হয়েছে। কাঁথির তিন বারের সাংসদের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, শিশির কুমার অধিকারীর নামে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে শিশিরবাবুরই বাড়ির। ওই ঠিকানায় তিনি ছাড়া কোনও অন্য শিশির কুমার অধিকারী থাকেন না। তাঁরাও মনে করছেন, কাঁথির সাংসদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই এটি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে শিশিরের অভিযোগ জানানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর পুত্র, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘বাবা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরেই অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন অর্থমন্ত্রীকে। আমরা চাই যাঁরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ সব করেছেন, তাঁরা ধরা পড়ুন। কারণ এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবার মতামত যেমন নেওয়া হয়নি, তেমনই বাবা কোনও তথ্য, নথি বা স্বাক্ষরও দেননি। এই ষড়যন্ত্রের বিহিত চাইছি আমরা।’’
কাঁথির সাংসদ শিশির বর্তমানে অসুস্থ। বাড়িতেই থাকেন। অসুস্থতার কারণে সংসদের অধিবেশনও যোগ দিতে পারছেন না। তাই এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের তরফেই যাবতীয় উদ্যোগ নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে খবর। শিশিরের আর এক পুত্র, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও টেলিফোনে গোটা বিষয়টি জানিয়ে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।