‘জেল, জরিমানা করে রোখা যাবে না’, বলছেন নওশাদ, ফেব্রুয়ারি মাসটা জেলেই থাকবেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
জেল, জরিমানা করে তাঁকে রোখা যাবে না বলে রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার নিউ মার্কেট থানার মামলায় তাঁকে নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়েছিল। এই মামলায় আগেই তাঁকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শনিবার তাঁকে আবার আদালতে পেশ করা হয়।
আদালতে সরকারি কৌঁসুলি নওশাদকে আবার পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আর্জি জানান। কিন্তু বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে দেন। তাঁকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের বাইরে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নওশাদ বলেন, “জেল, জরিমানা করে নওশাদ সিদ্দিকিকে রোখা যাবে না। মানুষের জন্য লড়াই চলবে।” জেলে আটকে রাখার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। নওশাদের আইনজীবী জানান, কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আর্জির বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তাঁরা নতুন করে জামিনের আর্জি জানাননি। তবে জেল হেফাজতের আর্জি আদালত মেনে নেওয়ায় সন্তোষপ্রকাশ করেছেন তিনি।
ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে আইএসএফ বিধায়ক-সহ উনিশ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই দিন বিকেলে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের দাবি, অফিস চলাকালীন শহরের ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। কিন্তু আইএসএফের কর্মীরা তা অগ্রাহ্য করেই অবস্থান চালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধর্মতলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নওশাদের আর এক আইনজীবী শামিম আহমেদ এর আগে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে নওশাদকে হেনস্থা এবং আইএসএফ সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছিলেন।