বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে স্থায়ী চেয়ারম্যান পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। মঙ্গলবার সমবায় বোর্ডে ১০ সদস্য বৈঠক ডেকে শুভেন্দুকে সরানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়। যদিও, বিরোধী দলনেতার ঘনিষ্ঠরা দাবি তুলেছেন তাঁর অপসারণ অবৈধ। এবং বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদালতে যাবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান চিন্তামণি মণ্ডলকে। যদিও সমবায় আইন অনুযায়ী, আগামী এক মাসের মধ্যেই বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক ডেকে পরবর্তী সভাপতি বেছে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে বর্তমান বোর্ড সদস্যদের মধ্যেই কেউ চেয়ারম্যান হতে পারেন।
কিন্তু কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে আগামী ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন হবে। যেখানে ১৫ জন ডিরেক্টর নির্বাচিত হবেন। সেক্ষেত্রে তখন নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যেই কাউকে চেয়ারম্যান বেছে নেবেন বোর্ডের নির্বাচিত ডিরেক্টররা। তাই আগামী কয়েক মাসের জন্য একজন অস্থায়ী চেয়ারম্যান পাবে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক। এক্ষেত্রে সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কাউকেই এই পদে বসাতে চায় শাসক দল। যাতে গত ১১ বছর কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালনার বিষয়ে আলোকপাত করতে পারেন তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়েই। প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে টানা এই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের অভিযোগ, যাবতীয় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চেয়ারম্যান থেকেছেন। সমবায় আইনে নির্বাচিত কোনও ব্যক্তি প্রশাসনিক পদে দু’বারের বেশি থাকতে পারেন না। কিন্ত শুভেন্দু সেই সব নিয়ম মানেননি। তবে পাল্টা শুভেন্দু শিবিরের জবাব, যেভাবে নন্দীগ্রাম বিধায়কের অপসারণ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই সব জবাব আদালতেই পাবেন শাসক শিবিরের প্রতিনিধিরা।
কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সম্পাদক তথা পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীর দাবি, পূর্ব ভারতের মধ্যে ওড়িশার কটক কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পর দ্বিতীয় স্থান রয়েছে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক। চার পাঁচটি জেলায় এই ব্যাঙ্কের শাখাও রয়েছে। গত কয়েক বছরে এই ব্যাঙ্কে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলে ব্যাঙ্কের সুনাম নষ্ট হয়েছে। তাই আগামী দিনে ব্যাঙ্কের সুনাম পুনরুদ্ধার করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই স্থায়ী সভাপতির পক্ষেই তাঁরা।