—ফাইল চিত্র।
শুধু মুম্বইয়ের শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে হুমকি ফোনই নয়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতেও হুমকি ফোন করেছিলেন পলাশ বসু। একই সঙ্গে তিনি ফোন করেন সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এবং এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের বাড়িতেও। শনিবার মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) এমনটাই দাবি করেছে। মুম্বই এটিএস জানিয়েছে, পলাশ নিজেকে দাউদ ইব্রাহিমের দলের লোক বলে পরিচয় দিয়ে হুমকি ফোন করেছিলেন।
তদন্তকারীরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এনসিপি নেতার বাড়িতে ফোন করার সময়ে পলাশ দুবাইয়ের একটি আন্তর্জাতিক সিম কার্ড ব্যবহার করেন। কয়েক বছর আগে দেশে ফিরলেও পলাশ ১৫ বছর দুবাইয়ে ছিলেন। ফলে সত্যিই তাঁর সঙ্গে এই মুহূর্তে দুবাই বা দাউদের গ্যাংয়ের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে মুম্বই এটিএস।
গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর থানা এলাকার রসা রোডের একটি মাল্টিজিমের প্রশিক্ষক পলাশ বসুকে মুম্বইয়ের এটিএস রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করে। মুম্বই পুলিশ জানায় ফোনগুলি করা হয়েছিল চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে। প্রথমে ফোনটি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে এবং পরে শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মোবাইলে করা হয় বলে মুম্বই পুলিশ দাবি করেছিল। পরে ওই ব্যক্তিকে চার দিনের হেফাজতে নিয়ে যায় তারা। আর মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেই তদন্ত চলাকালীন তারা জানায় শুধু মুখ্যমন্ত্রীর অফিস বা সঞ্জয় রাউতের মোবাইল নয়, মুখ্যমন্ত্রীর মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি ‘মাতশ্রী’-তেও ফোন করেন পলাশ। শুক্রবার পলাশকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সময়ে মুম্বই পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে কিছু বৈদ্যুতিন সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করে।
কঙ্গনা রানাউত এবং শিবসেনা সংঘাতের জেরে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন নেতাকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে মুম্বই পুলিশ সূত্রের খবর। আর তার মধ্যে পলাশ বসুরও ফোন ছিল। আগামী কাল সোমবার পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ পলাশ বসুর রিমান্ড পেয়েছে।