বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে কালীপুজোয় প্রতিমাকে গয়না পরাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
কালীপুজোয় রাজকীয় আয়োজন। তেমনই রাজকীয় সাজসজ্জা প্রতিমার। হার, চূড়, আংটি, বালা ইত্যাদি নিয়ে কয়েক কোটি টাকার গয়না রয়েছে গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। প্রতি বারই পুজোয় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সোনার পরিমাণ।
বীরভূম তৃণমূলের যে কালীপুজো বোলপুরের দলীয় দফতরে হয়ে আসছে তার প্রধান চরিত্র অনুব্রত। তিনিই মূল উদ্যোক্তা। প্রত্যেক বার কালীপুজোয় প্রতিমাকে গয়না পরিয়ে দেন তিনি। যদিও মা এবং স্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় দু’বছর প্রতিমাকে গয়না পরাতে পারেননি কেষ্ট। এ বার অবশ্য গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে তিনি রয়েছেন জেলে। কী কী গয়না রয়েছে কেষ্টর কালী প্রতিমার নামে? সূত্রের খবর, মুকুট, সীতাহার-সহ নানা রকমের হার, চেন, গলার চিক, টায়রা-টিকলি, চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা, আংটি, চুড়ি, বালা, বাউটি, বাজুবন্ধ ইত্যাদি নানা ধরনের সোনার গয়না রয়েছে। সব মিলিয়ে সেই গয়নার পরিমাণ ৫৭০ ভরি। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। ওই গয়না কোথা থেকে এল, সে দিকে নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-এরও।
১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল ওই কালীপুজো। এর পর ক্রমশই বাড়তে থাকে পুজোর জমক। প্রতি বার প্রতিমাকে গয়না পরিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানটিও হয় সে ভাবে। সব গয়না বার করে এক এক করে প্রতিমার গায়ে পরানো হয়। আর সেই পুজো দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। প্রতি বার বেড়েছে ওই গয়নার পরিমাণও। ২০২০ সালে করোনার বছরেও কালীমূর্তিকে ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। তার আগে ওই সোনার পরিমাণ ছিল ২৬০ ভরি। তার আগের বছর ১৮০ ভরি সোনার গয়না সাজানো হয়েছিল প্রতিমাকে। এ বছর অবশ্য প্রতিমার সোনার গয়নার পরিমাণ আর বাড়বে না বলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেষ্টর কালীর সেই সব গয়না। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে এ বছর জেলা কমিটির নেতারাই গয়নায় সাজিয়ে দেবেন প্রতিমাকে। তবে কে গয়না পরাবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।