BJP

সাইকেল চালালে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা বাড়ে! কৈলাস-টোটকায় অবাক চিকিৎসকরা

করোনাকালে সাইকেল চালাচ্ছেন কৈলাস। বিশ্ব সাইকেল দিবসে তা জানিয়ে টুইটে অক্সিজেন বাড়ার দাবি করে প্রশ্নের মুখে বিজেপি নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৭:১৮
Share:

সাইকেল সঙ্গী কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টুইটার

করোনাকালে সাইকেল চালিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা বাড়ছে। এমন দাবি করাই শুধু নয়, অন্যদের সাইকেল চালানোয় উৎসাহিত করতেও চেয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু কৈলাসের অক্সিজেন সংক্রান্ত দাবি শুনে অবাক চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, সাইকেল চালানো শরীর ভাল রাখার ক্ষেত্রে উপকারি হলেও তার সঙ্গে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা বাড়া বা কমার কোনও সম্পর্কই নেই। শ্বাস-প্রশ্বাসের কিছু প্রক্রিয়ার নিয়মিত অভ্যাসে সেটা হতে পারে, সাইকেল চালানোয় নয়।

Advertisement

বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস মধ্যপ্রদেশের নেতা হলেও তিনি এই রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষকও। ভোট পর্ব মেটার পরে তিনি এখন নিজের রাজ্যেই রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব সাইকেল দিবস’ উপলক্ষে একটি টুইট করেন তিনি। সেখানে নিজের সাইকেল চালানোর একটি ছবির পাশাপাশি কৈলাস লেখেন, ‘সাইকেল এমন একটি বাহন যার দৌড় কখনও শেষ হয় না। এটা গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি শরীর ভাল রাখার জন্যও জরুরি। এর মাধ্যমে পরিবেশও ভাল রাখা যায়। এখনকার করোনাকালে সাইকেল আমার অক্সিজেন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে’। টুইটের শেষ অংশে অন্যদের উৎসাহীত করতে কৈলাস লিখেছেন, ‘আমি তো সাইকেল চালাই, আর আপনি...’।

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘সাইকেল চালানোর সঙ্গে অক্সিজেন বাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। সার্বিক ভাবে শরীর সুস্থ রাখতে সাইকেল চালানো ভাল। সাঁতার কাটাও উপকারী। এটা আমরা সব সময়বলিও। কিন্তু তাতে অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতা বাড়বে, এমন ধারণা ভ্রান্ত। বাতাসে সে অক্সিজেন আছে, সেটা সাইকেল চালানোর সময় যতটা পাওয়া যাবে বাসে করে ঘুরলেও ততটাই পাওয়া যাবে।’’ একই কথা বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘সাইকেল চালালে শরীরের অক্সিজেনের প্রয়োজনিয়তা বেড়ে যেতে পারে কিন্তু গ্রহণ ক্ষমতা বাড়ে এমন কোনও গবেষণালব্ধ ব্যাখ্যা জানা নেই।’’ কৈলাসের টুইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যিনি লিখেছেন, তাঁর দল তো আয়ুর্বেদে বেশি বিশ্বাস রাখে। কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষে অনেক বেশি বিনিয়োগ করে। বাবা রামদেব হয়তো এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন।’’

Advertisement

কৈলাসের টুইটের প্রথম অংশকে অবশ্য চিকিৎসকরা সমর্থনই করছেন। সুনন্দ গোস্বামী বলেন, ‘‘করোনাকালে সাইকেল চালানোর অন্য একটি সুবিধা রয়েছে। গণপরিবহণের ভিড় এড়িয়ে যেতে সাইকেল নিরাপদ বাহন। দেশের সব বড় শহরে আলাদা সাইকেল লেন তৈরি করাও দরকার। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এই ব্যবস্থা রয়েছে। সাইকেলে ব্যবহার বাড়াতে পারলে পরিবেশকে দূষণ থেকে বাঁচানো যাবে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শুধু করোনার জন্য নয়, সুস্থ থাকতে সাইকেল চালানো উচিত। আর ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ’ করা যেতে পারে। যাঁরা করোনা মুক্ত হয়েছেন তাঁদেরকেও আমরা সেই পরামর্শ দিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement