সহযোগিতা করবেন, জানালেন বালু-কন্যা

অভিযোগ, তাঁর নামেও খোলা হয়েছে সংস্থা। এই সব নানা জল্পনার মধ্যেই পুজোর ছুটি শেষে সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিস খুলতেই হাজির হলেন সংসদের সচিব, জ্যোতিপ্রিয়- কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৭
Share:

সিজিও দফতর থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।

রেশন দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর বাবা, রাজ্যে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

অভিযোগ, তাঁর নামেও খোলা হয়েছে সংস্থা। এই সব নানা জল্পনার মধ্যেই পুজোর ছুটি শেষে সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিস খুলতেই হাজির হলেন সংসদের সচিব, জ্যোতিপ্রিয়-কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর থেকে সংবাদমাধ্যমে সক্রিয় দেখা গিয়েছে প্রিয়দর্শিনীকে। যতটা সম্ভব বাবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। কখনও আদালতে, কখনও হাসপাতালে, কখনও ইডির দফতরে। সোমবার অফিসে এসে একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়ে দিলেন, যে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও কারণ ঘটেনি যে তিনি নিজেকে অপরাধী বলে মনে করবেন। জানিয়েছেন, তিনি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।

আর এ সবের মধ্যেই এ দিন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের দু'টি নতুন বিষয় ডেটা সায়েন্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্‌টালিজেন্স বা কৃত্তিম মেধার একাদশ শ্রেণির স্টাডি মেটিরিয়াল এবং প্রশ্নের ধরণ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে আপলোড করার বিজ্ঞপ্তিও জারি করলেন।

Advertisement

প্রিয়দর্শিনী বলেন, “১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দেবে। এটা আমার দায়িত্ব। আমার কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটার জন্য লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী তো ভুক্তভোগী হতে পারে না। তাই অফিসে রোজই আসব।”

এ দিন সংবাদমাধ্যমে প্রিয়দর্শনী তাঁর বাবার গ্রেফতারের প্রসঙ্গে বলেন, “সবটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ। এই নিয়ে বলার সময় এখনও আসেনি। ইতি আগে গ্রেফতার করে। পরে তদন্ত করে।” তদন্তকারী সংস্থার দাবি অনুযায়ী, শুধু জ্যোতিপ্রিয় নন, রেশন বন্টন দুর্নীতিতে তাঁর স্ত্রী ও কন্যাও জড়িত। এই প্রসঙ্গে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “আমাকে যখন ডাকা হবে তখন তার ব্যাখ্যা আমি দেব। তদন্তে সহযোগিতা করব।”

এখনও ইডির ডাক আসেনি বলে জানিয়েছেন প্রিয়দর্শিনী। গ্রেফতারের সময় জ্যোতিপ্রিয় বলেছিলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার এবং এর জন্য শুভেন্দু অধিকারী দায়ী। এই প্রসঙ্গে প্রিয়দর্শিনী অবশ্য জানান, তিনি সক্রিয় রাজনীতি করেন না। তাই এই বিষয়ে তাঁর বাবাই ভাল বলতে পারবেন। এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।

শান্তিনিকেতনে জ্যোতিপ্রিয়র যে বাড়ি রয়েছে, সে কথা উল্লেখ করে। প্রিয়দর্শিনী জানান, বাড়িটায় কী আছে, কত আছে, তার ভ্যালুয়েশন কী সেটা সময় বলবে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ওই বাড়ি তাঁর নামে নেই। তাঁর বাবার নামে যে কালো টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে সেই প্রসঙ্গে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “আমরা সবাই তদন্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement