ফাইল ছবি
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ পাঁচটি জেলাকে নিয়ে বন দফতরের আলোচনাসভা চলছিল সোমবার। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, বন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি বন পরিচালন কমিটির সদস্যরাও ছিলেন। তাঁদেরই একজন সরাসরি বনমন্ত্রীর কাছে বন সহায়ক পদে নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে নালিশ করে বসলেন। দৃশ্যতই তখন অস্বস্তিতে মন্ত্রী, আধিকারিকেরা।
বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের কথা শুনতে চেয়েছিলেন মন্ত্রী। কয়েকজন তাঁদের সমস্যা জানান। তার পরই সবার সামনে বাঁকুড়ার একটি বন সুরক্ষা কমিটির এক সদস্যের নালিশ, ‘‘বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। কিছু কিছু মানুষকে কিছু কিছুর বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা শুধু অফিসে বসে আড্ডা মারছে। জঙ্গল সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণাই নেই।’’ তিনি মন্ত্রীকে আরও বলেন, ‘‘যাঁরা জঙ্গল রক্ষণাবেক্ষণ করেন, সেই সব লোকেদের মধ্যে থেকে যদি ওই কর্মী নিতেন, তা হলে বোধহয় জঙ্গলটা আরও ভাল থাকত।’’ তত ক্ষণে সভায় শোরগোল পড়েছে। অবস্থা বুঝে কমিটির সদস্যদের বলা সেখানেই শেষ করা হয়। বাঁকুড়ার ওই সদস্য শেষে আর্জি রাখেন, ‘‘এর পর বন সহায়ক নিয়োগের সময় যেন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়।’’
প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব। অভিযোগ, এর পরই তদন্তের গতি শ্লথ হয়েছে। এ দিন অবশ্য বর্তমান বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা তদন্ত চলছে। তদন্তের মাঝে তো আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’ তবে ঘটনা যে রাজীবের সময়ের তা বোঝাতে জ্যোতিপ্রিয় জুড়েছেন, ‘‘আমি পরে মন্ত্রী হয়েছি।’’ এ দিন দলীয় কর্মসূচিতে হলদিয়ায় ছিলেন রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যখন তদন্তের কথা বলেছিলেন তখন যা বলেছিলাম, আজও তাই বলছি। তদন্ত চাইলে সরকার করতেই পারে। আমার কোনও অসুবিধা নেই।’’