Suvendu Adhikari

নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ তৃণমূলের সভার দিনই শুভেন্দুকেও সভার অনুমতি দিল হাই কোর্ট, তবে বেঁধে দিল শর্ত

মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে ‘গণহত্যা দিবসে’ সভা রয়েছে তৃণমূলের। ওই একই দিনে নন্দীগ্রামে সভা করার অনুমতি চেয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৪
Share:

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দু নন্দীগ্রামে সভা করতে পারবেন। ফাইল চিত্র।

নন্দীগ্রাম দিবসে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকেও সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে শর্তসাপেক্ষে। আগামী কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সভা। হাই কোর্ট জানিয়ছে, শুভেন্দুকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সভা শেষ করতে হবে। মানতে হবে কয়েকটি শর্তও।

Advertisement

মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে ‘গণহত্যা দিবসে’ তৃণমূল প্রতিবছরই সভা করে। বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুও সেখানে শহিদ তর্পনের আর্জি জানিয়ে সভা করার অনুমতি চেয়েছিলেন পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি বলে দাবি বিজেপির। পুলিশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। তিনি চারটি শর্তে শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামে সভা করার অনুমতি দিয়েছেন।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দু নন্দীগ্রামে সভা করতে পারবেন। তবে তাঁকে কিছু শর্ত মানতে হবে। প্রথমত, শুভেন্দুকে তাঁর সভা শেষ করতে হবে দু’ঘণ্টার মধ্যে। দ্বিতীয়ত, সকাল ৮টা থেকে সভা শুরু করতে হবে। তৃতীয়ত, বেলা ১১টা থেকে তৃণমূলের সভা রয়েছে নন্দীগ্রামে। তার এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ১০টার মধ্যেই শেষ হবে শুভেন্দুর সভা। তৃণমূলকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে।চতুর্থত, সভা করতে হবে শান্তিপূর্ণ ভাবে।

Advertisement

বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর সভার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন সুভাষ দাস অধিকারী। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মান্থার এজলাসে এই মামলায় মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায়। শুনানি শেষে শুভেন্দুকে তৃণমূলের সঙ্গে একইদিনে নন্দীগ্রামে সভা করার অনুমতি দেন বিচারপতি মান্থা। যার বিরুদ্ধে এর আগে শুভেন্দুর প্রতি অনুগ্রহের অভিযোগ এনে পোস্টার পড়েছিল হাই কোর্ট চত্বরে। এমনকি, তাঁর পাড়াতেও।

১৪ মার্চ দিনটিকে ২০০৮ সাল থেকেই 'নন্দীগ্রাম দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। যার নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ওই সভা হয়ে আসছে। এক সময় যে সভার মঞ্চে থাকতেন শুভেন্দুও। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মুখ হিসাবেই রাজ্য রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল সেই সময়ের তৃণমূল নেতা শুভেন্দুর। তবে গত ১৪ বছরে অনেক রকম পরিবর্তন এসেছে বঙ্গে। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামেই তৃণমূলনেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচনে হারিয়েছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম দিবসে সেই নন্দীগ্রামে একই সঙ্গে সভা করবে তৃণমূল এবং বিজেপি। তবে এক ঘণ্টার ব্যবধানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement